লালমনিরহাটে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ২৫লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের প্রমাণ বাহির করা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহজালাল এবার সরকারি কাজ করতে গিয়ে হুমকি পেয়ে নিজের নিরাপত্তার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
শাহজালাল পরিবার পরিকল্পনা লালমনিরহাট জেলা উপ-পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর রুটিন কাজের অংশ হিসেবে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে মারাত্মক কিছু অনিয়ম নজরে আসে। উল্লেখিত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অফিস সহকারি তথা কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোছা. মনোয়ারা বেগমের সহযোগিতায় প্রাক্তন মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. নিশাতনুর নাহার ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২৫ (পঁচিশ) লক্ষাধিক টাকা ভূয়া বিল ভাইচারের মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করে আত্মসাতের প্রমাণ পান তিনি।
তিনি বলেন, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে প্রতিবেদন হিসেবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা করি, তেমনি মাঠ কাজ পরিদর্শনে নিয়ে অজস্র অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়, এ জেলার কতিপয় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারি (প্রাক্তন টিএফটিএ) অনিয়ম ও দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন, এদের সহযোগিতা করেছেন কতিপয় মাঠ কর্মচারি, অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছে কতিপয় কর্মকর্তা, পরিদর্শন করতে গিয়ে মাঠে এবং কর্মস্থলে অনেককে অনুপস্থিত পাই, প্রথম দিকে মৌখিক ভাবে মাঠ কাজে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাই। তারা সংশোধন না হবার পর বেশ কয়েকজনকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পেয়ে কারণ ব্যাখ্যা করার নোটিশ জারি করি, দুর্নীতিগ্রস্ত মনোয়ারা বেগমসহ অনেকে নৈশ প্রহরী চাকরি দেবার আশ্বাস দিয়ে অনেকের কাছে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে, কর্তৃপক্ষ তাকে জেলার বাহিরে বদলি করেন।
সাধারণ ডায়েরি (জিডি) প্রসঙ্গে লালমনিরহাট পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহজালাল জানান, আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি কার্যসম্পাদন করাই আমার দায়িত্ব, আমি সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার শারীরিক হেনস্থা সহ অফিস এবং সরকারি গাড়ি ভাংচুর করার পরিকল্পনা করছেন। তারা যেন পরবর্তীতে কোনো অপ্রীতিকর কাজ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নূরনবী বলেন, লালমনিরহাট পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহজালাল ২৯ অক্টোবর পরিদর্শন সংক্রান্ত একটি জিডি হয়েছে, আমরা তা আদালতে প্রসিকিউশন দিবো।