ভারতে ও পার্শ্ববর্তী জেলায় রাসায়নিক সার পাচার রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটিই জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) কর্তৃক কুলাঘাট বিজিবি চেক পোস্টের মাধ্যমে ভারতে ও পার্শ্ববর্তী জেলায় পাচারকালে সর্বমোট ২শত ৪৫টি বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ করা হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা হতে রাসায়নিক সার পাচার রোধে ১৫ বিজিবি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবির দৃঢ় অবস্থান আরও সুসংহত হয়েছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে যে, কিছু চোরাকারবারি লালমনিরহাট জেলা থেকে বাংলাদেশী রাসায়নিক সার সীমান্ত পথে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছে।
উক্ত তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) কুলাঘাট বিজিবি চেক পোস্টে অভিযান পরিচালনা করে ৫টি বস্তা ডিএপি সার জব্দ করা হয়। এর আগে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ১শত ৫২টি বস্তা ইউরিয়া সার ও ৭৬টি বস্তা ডিএপি সার এবং শনিবার (৪ অক্টোবর) ৪টি বস্তা ইউরিয়া সার ও ৮টি বস্তা ডিএপি সার জব্দ করা হয়।
সব মিলিয়ে জব্দকৃত সার ২শত ৪৫টি বস্তা, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩লক্ষ ৪০হাজার ৮শত টাকা। পরবর্তীতে জব্দকৃত সারসমূহ লালমনিরহাট কাস্টমসের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলা কৃষি কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)র কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, লালমনিরহাট জেলা হতে রাসায়নিক সার সীমান্ত দিয়ে ভারতে ও পার্শ্ববর্তী জেলায় পাচাররোধে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলার কৃষকরা যেন ন্যায্য মূল্যে রাসায়নিক সার পেতে পারেন, সে জন্য বিজিবির এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। জনগণকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
এই অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার। তাদের এ ভূমিকা বাংলাদেশের কৃষকদের মাঝে কৃষি উৎপাদনে উদ্দীপনা সৃষ্টিতে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।