শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর
সেই শাহিনাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর

সেই শাহিনাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়া সেই ছাত্রী শাহিনা আক্তারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর।

 

আজ সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাকে ডেকে নিয়ে নগদ ১৫হাজার টাকাসহ বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী বই উপহার দেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।

 

এ সময় হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন, সির্ন্দুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরল আমিন, হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ, হাতীবান্ধা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহবুব আলম উপস্থিত ছিলেন।

 

শাহিনা আক্তার হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০শ্রেণির ছাত্রী ও হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর ধুবনী গ্রামের সাইরুদ্দিনের কন্যা।

 

অতি সম্প্রতি শাহিনা আক্তারকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তার বাবা-মা। উপায় না পেয়ে শাহিনা আক্তার বাড়ি থেকে পালিয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে প্রথমে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলমকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই ছাত্রী। তার কাছে তেমন সহযোগিতা না পেয়ে হাতীবান্ধার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিনকে ফোন করে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা কামনা করেন।

 

এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। পরে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন, হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইইনচার্জ এরশাদুল আলমকে সাথে নিয়ে প্রথমত শাহিনা আক্তারকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। পরে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন নিজ গাড়িতে করে শাহিনাকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন। এ সময় তার বাবা সাইরুদ্দিনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আইয়ুব আলীর জিম্মায় দেন শাহিনা আক্তারকে।

 

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, শাহিনা আক্তার নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে আমাদের সমাজকে বুঝিয়ে দিয়েছেন নারীরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। আর যেন একটি মেয়েরও বাল্যবিয়ে না হয় সেজন্য আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone