শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর
লালমনিরহাটে পবিত্র ঈদ উল আযহাকে ঘিরে পশুহাটগুলো জমে উঠেছে

লালমনিরহাটে পবিত্র ঈদ উল আযহাকে ঘিরে পশুহাটগুলো জমে উঠেছে

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় পবিত্র ঈদ উল আযহাকে ঘিরে পশুর হাটগুলো জমতে শুরু করেছে। হাটগুলোতে প্রাধান্য পাচ্ছে স্থানীয় খামারের পালিত গরু। তবে পবিত্র ঈদ উল আযহা ঘনিয়ে আসায় ভারতীয় গরুর আমদানি আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন।

 

পবিত্র ঈদ উল আযহা আসতে আরও কয়েক দিন বাকি থাকলেও এখনই জমে উঠেছে কোরবানির গরুর হাট। লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড় পশুর হাটের মধ্যে দুড়াকুটিহাট, নবাবেরহাট (বিডিআরহাট), সাপটানা (নয়ারহাট), বড়বাড়ীহাট অন্যতম।

 

এছাড়াও এ এলাকার সর্ববৃহৎ হাটগুলোর মধ্যে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জহাট, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতাহাট, দইখাওয়াহাট, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনাহাট, চাপারহাট, আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ীহাট বসে।

 

এ হাটগুলোতে বেশির ভাগ গরু ভারত থেকে আনা হয়।

 

এসব হাটের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাটগুলোতে আগাম কোরবানির পশু আসা শুরু করেছে।

 

তবে বিক্রেতারা দাম আকাশ ছোঁয়া চাওয়ায় পশু তেমন বিক্রি হচ্ছে না।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার দুড়াকুটিহাটে কোরবানির পশু উঠেছে ব্যাপক। কিন্তু বিক্রেতারা দাম বেশি চাওয়ায় ক্রেতারা পশু তেমন কিনছেন না।

 

ক্রেতারা বলছেন, এবারে পশুর দাম যেভাবে চাওয়া হচ্ছে তাতে পশু কিনায় মুশকিল।

 

ক্রেতাদের মতে, পবিত্র ঈদ উল আযহার আরও কয়েকদিন বাকি, তাই আগাম বেশি দামে পশু কিনতে তারা নারাজ।

 

তবে ক্রেতা আর বিক্রেতারা উভয়েই বলছেন, আগামী দু’একদিন পরে হাটে গরুর আমদানি বেড়ে যাবে। আর তখন ক্রেতারা পশু কেনা শুরু করবেন।

 

হাটগুলোতে এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরুর আমদানি অনেক কম বলে জানান, গরু ব্যবসায়ীরা তবে পবিত্র ঈদ উল আযহা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ভারতীয় গরুর আমদানি বেশি হলেও স্থানীয় খামারের বা বাড়িতে পোষা গরুই বেশি প্রাধান্য পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

 

পশুর আমদানির উপর দামের নির্ভর করলেও এ বছর সকল ধরনের পশুর দাম তুলনামূলক অনেক বেশি হবে বলে মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

 

পশুর হাটের ইজারাদাররা বলছেন, হাটে এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু-মহিষের আমদানি কম। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু এখন তেমন আসছে না। তাই এবারের কোরবানিতে দেশীয় গরুর কদর থাকবে।

 

তারা আরও বলেন, এবারের পবিত্র ঈদ উল আযহায় বিভিন্ন এলাকার খামার ও গৃহস্থদের বাড়ির গরুই তাদের হাটে প্রাধান্য পাবে।

 

জানা যায়, অন্যান্য বছরের মতো এবারে স্থানীয় ভাবে গড়ে ওঠা খামারের সংখ্যা অনেক কম। আগের বছরগুলোতে ভারতীয় গরুর সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে ভালো দাম না পেয়ে অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন। এতে তারা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন। যে কারণে ক্ষতিগ্রস্থরা এবারে আর তেমন খামার গড়ে তোলেননি। তবে বিভিন্ন গ্রামের গৃহস্থদের বাড়িতে বাড়িতে ৩-৪টি করে দেশীয় গরু পালন করেছেন অনেকে। আর এ সব গরুই এবারের কোরবানির ঈদে ক্রেতাদের হবে প্রধান টার্গেট।

 

উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট জেলায় ১লাখ ৭১হাজার ৭শত ৭৭টি কোরবাণীর প্রাণীর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুত রয়েছে ২লাখ ৬২হাজার ৬শত ৩১টি। চাহিদার তুলনায় এ জেলায় ৯০হাজার ৮শত ৫৪টি বেশি রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone