শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
লালমনিরহাটে প্রকৌশলীর দপ্তরে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না!

লালমনিরহাটে প্রকৌশলীর দপ্তরে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না!

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না বলে ঠিকাদারদের অভিযোগ। বিলের স্মারক নম্বর দিতেও ৫শত টাকা ঘুষ গুনতে হয়।

 

অভিযোগে জানা গেছে, গ্রামীন হাট-বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২কোটি টাকা ব্যয়ে আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি হাটের ৪তলার ভিতের উপর ২তলা নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করে প্রকৌশল দপ্তর। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি হিসেবে কাজটি তদারকি করছেন আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম। প্রায় ২কোটি টাকা ব্যয়ে সেই নির্মাণ কাজটি প্রায় ৫০শতাংশ সম্পূর্ণ হলে তৃতীয় দফায় বিলের আবেদন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেই বিলের কাগজপত্র নিয়ে আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে যান আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলমের ভাতিজা আদিতমারী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ হযরত আলী। এ সময় বিলের আবেদনে স্মারক নম্বর দেয়ার জন্য ফাইলটি অফিস সহকারী নুরজাহান বেগম জেবির কাছে পাঠানো হয়। তিনি টাকা ছাড়া স্মারক নম্বর দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

 

অবশেষে বাধ্য হয়ে প্রথমে ২শত টাকা প্রদান করে স্মারক নম্বর বসানোর অনুরোধ করেন। ঘুষ কম হওয়ায় টাকা ছুড়ে ফেলে দেন অফিস সহকারী নুরজাহান বেগম জেবি। শেষ পর্যন্ত ৫শত টাকা ঘুষ নিয়ে তবেই বিলে স্মারক নম্বর বসিয়ে ফাইলটি অগ্রগামি করেন অফিস সহকারী।

 

ঠিকাদারের প্রতিনিধি কৃষিবিদ হযরত আলী সাংবাদিকদের বলেন, স্মারক নম্বর বসাতে গেলে অফিস সহকারী জেবি মিষ্টি খাওয়ার আবদার করেন। তাই তাকে প্রথমে ২শত টাকা দিয়েছিলাম। কম হওয়ায় সেই টাকা আমার পায়ে ছুড়ে মারেন এবং আমাকে ভৎসনা করেন। অফিসারদের লাখ লাখ টাকা ঘুষ দেন আর আমাদের বেলায় ৫শ/হাজার টাকা বের হয় না। যান স্মারক নম্বর অফিসারের কাছে নেন বলে জেবি ফাইলটি ফেরৎ দেন। অবশেষে ৫শত টাকা ঘুষ নিয়ে তবেই স্মারক নম্বর বসিয়ে ফাইলটি অগ্রগামী করেন অফিস সহকারী নুরজাহান বেগম জেবি। এদের কাছে ঠিকাদাররা জিম্মী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

ঘুষ গ্রহনকারী আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সহকারী নুরজাহান বেগম জেবি সাংবাদিকদের বলেন, ঘুষ নয়, বিল তুলছেন তাই মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন।

 

আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল রানা ঘুষ গ্রহণের ছবিটি তার অফিসের এবং অফিস সহকারী নুরজাহান বেগম জেবির বলে সনাক্ত করে সাংবাদিকদের বলেন, ফাইল ছুড়ে ফেলে টাকা আদায় করাটা দুঃখজনক। তাকে সতর্ক করা হবে।

 

লালমনিরহাট স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে জনগনের সেবা করার জন্যই সরকার বেতন দেন। এরপরও ফাইল আটকিয়ে মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা নেয়া অন্যায়। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone