শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত এ্যাডভোকেট মোঃ মতিয়ার রহমান এমপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠিত দৃষ্টিনন্দন ফুল “কচুরিপানা” ফুটেছে লালমনিরহাটে! কাঁঠালের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা! সংসদ সদস্যরা প্রভাব বিস্তার বা প্রচারণা চালালে নির্বাচন কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে-লালমনিরহাটে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচারণায়! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ্যাডঃ মোঃ ইকবাল হোসেন মামুন শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় পাঁচ বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হেলাল হোসেন কবিরের উন্নয়ন ভাবনা!

লালমনিরহাটে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) যাচ্ছে ইটভাটায়। এতে উর্বরতা শক্তি হারিয়ে উৎপাদন কমছে কৃষি জমির। আবার উর্বরতা শক্তি ফিরে আসতে ৫ থেকে ১০বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় ৪৭টি ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটাগুলোর মধ্যে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৮টি, আদিতমারী উপজেলায় ১১টি, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৮টি, হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৬টি, পাটগ্রাম উপজেলায় ৪টি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, এসব ইটভাটায় ইট তৈরির জন্য বছরে আনুমানিক ১হাজার বিঘা উর্বর কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সচেতনতামূলক প্রচারণার অভাবে উপরিভাগের মাটি বিক্রি বা স্থানান্তরের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জমি ও ইটভাটার মালিকেরা জানেন না। এ অবস্থায় প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকেরা উপরিভাগের মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করেও থেকে যাচ্ছে শাস্তি বা জরিমানার বাইরে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফসলি জমি থেকে শ্রমিকরা ট্রাক্টরে করে মাটি ভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। ভ্যানে করেও জমি থেকে মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

শ্রমিকরা জানান, চলতি নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এই মাটি কেটে নেওয়ার কাজ চলবে।

 

কৃষি ও পরিবেশবিদরা বলেন, টপ সয়েলে যে জৈব উপাদান থাকে, তা কৃষি উৎপাদনের জন্য সহায়ক। এই জৈব উপাদান ইটভাটায় চলে গিয়ে অপচয় হয়, যা পূরণ করতে ৫ থেকে ১০বছর সময় লেগে যায়।

 

পরিবেশ অধিদপ্তর বলেন, ইটভাটার জন্য টপ সয়েল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অনুমোদিত ইটভাটাগুলো তাদের প্রয়োজনে অনুমতি সাপেক্ষে হাজা-মজা পুকুর, খাল-বিল-ডোবার মাটি ব্যবহার করতে পারবে। টপ সয়েল ব্যবহার করা হচ্ছে বা নেওয়া হচ্ছে- এমন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone