শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার

বিলুপ্তির পথে মাষকলাই চাষ

দিনের পর দিন বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে লালমনিরহাটের মাষকলাই (ঠাকরি কালাই)র চাষ। প্রতি বছরই মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা। স্বল্প পরিসরে যাও চাষ হচ্ছে তা নেহাতই মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) নিজের খাবারের আশায়।

 

সরেজমিনে লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, পূর্বের ২৫-৩০বছরের তুলনায় এবারে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) এর তেমন চাষই হয়নি। প্রায় ৯৯% মাঠে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই)র কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায় না। যে সকল মাঠে আগে দেখা যেত সবুজ রং এর সমারোহ সেখানে এখন আবাদ হচ্ছে সবুজ বর্ণের ধান কিংবা সবজিসহ অন্যান্য সবজির।

 

কিন্তু মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষে কেন আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমরা কথা বলি কয়েকজন কৃষকের সাথে।

 

লালমনিরহাটের ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ হযরত আলী জানান, মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষে আগের মতো তেমন ফলন পাওয়া যায়না তাই এতে আমাদের লাভ নাই, এজন্যই মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ করিনা।

 

একই গ্রামের কৃষক মোঃ সাহেব আলী জানান, জমিতে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ করার তুলনায় ধান ও সবজিসহ অন্যান্য মৌসুমি ফসল চাষ করলে আমরা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হই। এজন্যই আমরা মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ করিনা।

 

কোদালখাতা সরকারটারী গ্রামের কমল চন্দ্র রায় জানান, আমাদের আশেপাশে কোথাও মাষকলাই (ঠাকরি কালাই)র অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়না। তবে হঠাৎ চলতি রাস্তার ধারে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ দেখতে পাওয়া যায়।

 

এক সময়ে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে পুরোদমে দেখা যেত মাষকলাই (ঠাকরি কালাই)। কিন্তু বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি অধিক মুনাফা লাভের আশায় অন্য ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে কলাই চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক।

 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে গ্রাম বাংলার এ ঐতিহ্যকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবেন এমনটাই আহবান সচেতন মহলের।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone