শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
টিটিসিকে অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন সাবেক অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন

টিটিসিকে অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন সাবেক অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন

লালমনিরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)তে অধ্যক্ষ থাকাকালে দেলোয়ার হোসেন প্রতিষ্ঠানে চালু করেন অনিয়ম আর দূর্নীতির এক নতুন যুগ। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কোটি টাকারও বেশি সরকারি অর্থ হাতিয়ে কৌশলে গাজীপুরে বদলি হয়ে সরে যান দায়িত্ব থেকে। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

 

তাঁর অপকর্ম ফাঁস হয় দায়িত্ব ছাড়ার পর। ধরা পড়ে নানা অনিয়মের চিত্র। দেলোয়ারের একার পক্ষে এসব সম্ভব না হলেও তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, কয়েকজন শিক্ষকসহ ২জন নিম্নপদস্থ কর্মচারী, যারা প্রতিষ্ঠানের সব অনিয়মে তার ডান-বাম হাত হিসেবে পরিচিত। তিনি ঢাকায় থাকলেও তার সাক্ষর ঢাকায় গিয়ে করে নিয়ে আসতো কয়েক শিক্ষক, বিনিময়ে ভোগ করতো প্রতিষ্ঠানের অঘোষিত সুযোগ ও সুবিধা। অভিযোগ আছে দেলোয়ার হোসেন তার স্ত্রী নাসরিন আক্তারকে বানিয়েছেন গার্মেন্টস ট্রেডের ইনস্ট্রাক্টর।

 

বর্তমানে দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ আইনুল হক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানান, দেলোয়ার হোসেন দায়িত্বে থাকাকালে জেলা হিসাব অফিসে স্টাফদের আইডি খোলেননি। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ড্রয়ারের চাবিও তিনি বুঝিয়ে দেননি, যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংরক্ষণে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

 

এছাড়াও ব্যাংক বুক, ক্যাশবুক, বাজেট কন্ট্রোল, রেজিস্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে তার স্বাক্ষর নেই। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে ৭লক্ষ ৪৮হাজার ৫শত ৮০টাকার অডিট আপত্তি রয়েছে। রয়েছে প্রকল্প ভুক্ত কর্মীদের বেতন না দেওয়ার অভিযোগও।

 

অধ্যক্ষ আইনুল হক আরও জানান, দেলোয়ার হোসেন ৯ মার্চ ২০২৫ থেকে ৮ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত অফিস করেননি, অথচ তিনি এখনও সরকারি বেতন ভোগ করছেন। বিভিন্ন ট্রেডের মালামালের হিসাবেও রয়েছে বিপুল ঘাটতি। অতিথি শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম (আইডি: ৭৩১৮৭৭৯৮৩৭) অভিযোগ করেছেন, তাঁর প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বকেয়া রেখে বারবার হয়রানি করেছেন দেলোয়ার হোসেন। মানসিক নির্যাতনও করেছেন দীর্ঘদিন।

 

এ নিয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) লালমনিরহাটের সহ-সভাপতি সুপেন্দ্র নাথ দত্ত বলেন, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন আচরণ দেশের জন্য লজ্জার। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। দূনীতি করা কোন ব্যক্তি যেন ছাড় না পায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে।

 

বর্তমান অধ্যক্ষ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone