এ “হাতিরঝিল” পার্কটিতে একটি বড় হ্রদ, বিভিন্ন ধরণের গাছ ও ফুল এবং বেশ কয়েকটি হাঁটার পথ রয়েছে।
মানবসৃষ্ট লেক এটি। এতে বোটিং, ফিশিং এবং পিকনিকের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
লালমনিরহাটের হাতিরঝিলে গিয়ে সরেজমিনে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, যানজট নিরসন এবং শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। পরিবেশ ও নান্দনিকতার দিক থেকে লালমনিরহাটের হাতিরঝিল এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। হাতিরঝিলের দুপাশে উত্তর-দক্ষিণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। হাতিরঝিল লেকের এপার থেকে ওপারে যাওয়ার জন্য দৃষ্টিনন্দন রাস্তা, বসার বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে বছর কয়েক আগেও হাতিরঝিল ছিল পঁচা পানির আধার। কিন্তু বর্তমানে এটি ঝকঝকে পানি ধারণ করছে। ময়লা পানি নিষ্কাশনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। ঝিল ঘেঁষা রাস্তার পাশে বৃক্ষরাজি আর ফুলের সমারোহ।
এছাড়া সন্ধ্যার পর লালমনিরহাটে হাতিরঝিলে নানা রকম আলোকসজ্জার রঙ্গে নিজেকে রাঙ্গিয়ে তোলে অপরুপ সাঁজে।
হাতিরঝিল নামকরনের ইতিহাস: লালমনিরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের খোর্দ্দ সাপটানা এলাকায় স্টোরপাড়া-তেলীপাড়া এলাকার যোগাযোগের জন্য পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। সড়কের দুই ধারে পানিতে টইটম্বুর হওয়ায় সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য ভ্রমণের একটি চমৎকার জায়গা তৈরি হয়। ধিরে ধিরে রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের নামের সঙ্গে মিল রেখে নামকরণ করা হয় লালমনিরহাটের হাতিরঝিল।
হাতিরঝিল কিভাবে যাবেন: লালমনিরহাটের যে কোন প্রান্ত থেকে রিক্সা কিম্বা অটোরিক্সা করে হাতিরঝিল আসা যায়।