শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চাল, ঢেউটিন ও শুকনা খাবারের বরাদ্দ

তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চাল, ঢেউটিন ও শুকনা খাবারের বরাদ্দ

ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলের ফলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে হঠাৎ বিপৎসীমার ৫সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এতে বন্যার আশঙ্কা করছে তিস্তা পাড়ের মানুষজন। এতে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে রাতে পানি নিয়ন্ত্রণে ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে তিস্তা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।

 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২দশমিক ২০সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২দশমিক ১৫মিটার), যা বিপৎসীমার ৫সেন্টিমিটার ওপর ছিলো যা বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ডালিয়া পয়েন্ট-পানির সমতল ৫২.০০মিটার (বিপদসীমা=৫২.১৫মিটার) যা বিপদসীমার ১৫সে.মি নিচে।

 

জানা গেছে, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদী ভাঙন আতঙ্কে পড়ে।

 

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাতে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০টি চর, পাটগ্রাম উপজেলা দহগ্রাম, আদিতমারী উপজেলা চর গোবর্ধন, মহিষখোঁচা এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর এবং নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলোতে পানি ঢুকছে শুরু করেছে। দিনে পানি ধিরে ধিরে নামতে শুরু করলেও মানুষের দূর্ভোগ বাড়তে থাকে। বাড়িতে, রাস্তায়, বাজারে ও স্কুলের মাঠে এখনও পানি রয়েছে।

 

তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানা যায়, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সতর্ক অবস্থান থাকতে বলা হয়েছে। তবে তিস্তার পানি রাতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

 

লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানানো হয় বন্যা বা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত মানুষদের সার্বিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন শাখার পক্ষ থেকে জিআর চাল (দুর্যোগ) প্রতিটি উপজেলায় ৪০মেট্রিক টন চাল উপ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে, ঢেউটিন ও শুকনা খাবারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বক্ষণিক এ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone