শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে ফল উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপির কর্মীকে কারাদণ্ড, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে হামলা ভাংচুর : ৮ পুলিশসহ আহত অন্তত ২০ প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় রিকশাচালক গ্রেফতার চাকরিচ্যুত হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ঐতিহ্যবাহী মোগলহাট জিরো পয়েন্ট এখন শুধুই স্মৃতি; দর্শনার্থীদের ভিড় সময়ের প্রয়োজনে ও রক্তের বিনিময়ে এনসিপি গঠিত হয়েছে- লালমনিরহাটে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ; ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন কালের আবর্তে বিলুপ্তির পথে মহিষ ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস পরিদর্শন

লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মান্দার ফুল

Exif_JPEG_420

মান্দারের ইংরেজী নাম Indian coral tree আর এর বৈজ্ঞানিক নাম Erythrina variegeta বা erythrina orientalis. বইয়ের ভাষায় এর নাম পরিজাত আর আঞ্চলিক বা স্থানভেধে এর নাম মাদার, মান্দর, মন্দার, পালতে মান্দার, রক্তমান্দার ইত্যাদি বলতে শোনা যায়। যে নামেই ডাকা হোক না কেন, গাছ কিন্তু সেই একটাই।বাংলাদেশের প্রখ্যাত উদ্ভিদবিদ দ্বিজেন শর্মা তাঁর “ফুলগুলি যেন কথা” বইতে এই মান্দার সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন:- “ইরিত্রিনা ইণ্ডিকা (Erythina Indica) বা পরিজাত মাঝারি আকারের দেশী গাছ। গায়ে কাঁটা থাকে। পত্রমোচী। বসন্তে ফুল ফোটে। মঞ্জরীতে অনেকগুলি ফুল থাকে। ফুল শিমফুলের মতো, ১০সেন্টিমিটার লম্বা, গাঢ় লাল। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মে। ডাল কেটে লাগালেও বাঁচে।”

 

মান্দার পাতা ঝরায় বসন্তে এবং ফুল ও ফোটে ঠিক এই সময়ে। লম্বা ডাটায় অনেক লাল রংয়ের ফুল ফোটে। গাছটি সাদামাটা হলেও এর ফুলগুলো চমৎকার। মাঝারি আকারের আকারের এই গাছটি সাধারণত ১৫মিটারের মত উঁচু হতে দেখা যায়। গাছের গায়ে কালো-কালো গোটা-গোটা কাঁটা থাকে। গাছের গোঢ়ারদিকের কাঁটাগুলি গাছ বড় হলে ঝরে যেতে দেখা যায় অনেক সময়। অনেকটাই পলাশ ফুলের মত দেখতে এই ফুলগুলি টকটকে লাল। আজ পর্যন্ত কোথাও এই গাছ বাগানে কেউ লাগিয়েছে বলে শুনুনি, কিন্তু পৌরানীক কাহিনীতে জানা যায়, “মান্দার স্বর্গের ফুল, মর্ত্যের রাজা শ্রীকৃষ্ণ স্বর্গের রাজা ইন্দ্রের কাছ থেকে অনেকটা জোরজবরদস্তি করেই এই পরিজাতকে তার মর্ত্যের বাগানে এনে লাগান।”

 

দেখতে যেমন পলাশের মত তেমনি ফাগুন হাওয়ার পলাশ যখন ডালে ডালে আগুন ঝরায় তখন পরিজাতও ফুটতে শুরু করে অবহেলা গায়ে না মেখে। গাছের পাতা ঝরে যায় ফুলফোটার সময় হলেই। পাতাহীন গাছে অবহেলায় ফোটে টকটকে লাল পরিজাত। কি যায় আসে যদি তুমি আদর করে না রাখলে বাগানের পার্শে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিন্তু পরম মমতায় বলেছেন- “ফাগুন হাওয়ায় রঙে রঙে পাগল ঝোরা লুকিয়ে ঝরে গোলাপ জবা পারুল পলাশ পরিজাতের বুকের পরে।”

 

হরিপদ রায় হরি বলেন, মান্দার ফুলগাছের ডাল থেকে আটা সংগ্রহ করে পাটকাটি দিয়ে ফু দিলে আটাগুলো ছোট ছোট বেলুন হয়ে উড়ে যায়। যা দেখতে ভালো লাগে।

 

এস এম হাসান আলী বলেন, মান্দার ফুল ঋতুরাজ বসন্তে ফুটে থাকে। যা প্রকৃতিকে অপরুপ সাজে সাজিয়ে রাখে। রাস্তা দিয়ে গেলে এ ফুলগুলো দেখতে পাওয়া যায়।

 

কবি কমল কান্তি রায় বলেন, মান্দার ফুল আজ লালমনিরহাটে প্রায় বিলুপ্তির পথে। গ্রামে কিছু বাড়িতে এ গাছটি দেখতে পাওয়া যায়। আসুন প্রকৃতিকে সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য মান্দার গাছ লাগাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone