শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রথমবারের মতো উত্তরবঙ্গ কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে এ উত্তরবঙ্গ কৃষক সমাবেশ।

 

সমাবেশে উদ্বোধক হিসেবে বর্তমান অর্ন্তবতীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও প্রধান অতিথি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) উপস্থিত থাকবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা আসেননি। তবে প্রধান বক্তা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম উপস্থিত ছিলেন।

 

উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশ কমিটির আহবায়ক নাহিদ হাসান-এঁর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য রাখাল রাহা, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাছির উদ্দিন, নগর পরিকল্পনাবিদ খন্দকার মিয়াজ রহমান প্রমুখ। এ সময় অন্যান্য ব্যক্তবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, এই দেশ কৃষকদের দেশ, কৃষি প্রধান দেশ। এই যে অভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন, তারা সকলেই কৃষকের সন্তান। কিন্তু তারা যে কৃষকদের সন্তান, তাদের মরদেহ যে কৃষকদের বাড়িতে এসেছে, কিন্তু এই কৃষকরা অভ্যুত্থানের পর কোনোভাবেই আলোচিত না। বাংলাদেশের বর্গ হিসেবে কৃষককে একদম রাজনৈতিক বর্গ হিসেবে অদৃশ্য করা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশের পরিবর্তনের জন্য যেই দিকে এগিয়ে নেয়া দরকার সেটি হচ্ছে কৃষি ও কৃষকদের। তাদের কীভাবে পরিবর্তন হবে? তাদের সমস্যা গুলো কী! সেগুলো সমাধান করা। এ সব নিয়ে আমরা সরকারের বিভিন্ন স্তরে কথা বলেছি। ঢাকায় সভা সমাবেশ করার চেষ্টা করেছি। তাতে সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু কিছু উপদেষ্টা আগ্রহী হলেও পুরো সরকারের মনোযোগটা আমরা এইদিকে আকৃষ্ট করতে পারি নাই।

 

উল্লেখ্য, সমাবেশে কৃষকদের অধিকার আদায়ে ১২দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। ১২দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, হাট ও ঘাট থেকে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ এবং সরাসরি খাজনা তোলার ব্যবস্থা, কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা, চরাঞ্চলে প্রকৃত ভূমিহীনদের খাস জমি বণ্টন, ইলিশসহ সকল প্রজাতির মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা, আন্তঃনগর ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহনে বিশেষ বগি সংযোজন, কৃষিঋণ মওকুফ এবং অনাদায়ী ঋণে মামলা বাতিল, আখ ও বীট চিনি উৎপাদনে কৃষকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, মহাজনী প্রথার বিলোপ ও কৃষকদের জন্য সাশ্রয়ী লোনের ব্যবস্থা, নদীভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ এবং চরাঞ্চলে বনাঞ্চল তৈরি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone