শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটের হাসপাতাল রোডে দুটি স্পীড ব্রেকারই বাড়িয়েছে ঝূঁকি! তেজপাতার বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে লালমনিরহাটে লালমনিরহাটে ‘এ-‘ ও ‘বি’ গ্রেড পেয়ে এসএসসি পাশ করলো দুই দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী! লালমনিরহাটে বিমাতার বিরুদ্ধে অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা করলেন ছেলে! লালমনিরহাটে সুপারি বাগানে সাথী ফসল চাষে বাড়তি আয়! লালমনিরহাটে অ্যাড. মতিয়ার রহমান-এঁর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট শহরের বিভিন্ন রাস্তায় রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী; দুর্ভোগে শহরবাসী! লালমনিরহাটে কচুর আবাদ বেড়েছে রেলপথ সংস্কারে অনিয়ম; তদন্তে দুদক! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন মোছাঃ লতিফা বেগম!
ভিজিএফের স্লিপ না পেয়ে ইউপি সদস্যকে মারধর; অভিযোগ ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে!

ভিজিএফের স্লিপ না পেয়ে ইউপি সদস্যকে মারধর; অভিযোগ ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে!

লালমনিরহাটে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ভিজিএফের স্লিপ না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকে মারধর করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনায় ঘটে।

 

ভুক্তভোগী এরশাদুল হক (৩৭) মহেন্দ্রনগর ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি বুধবার (১০ এপ্রিল) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ভিজিএফের স্লিপ না পেয়ে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন চন্দ্র রায় (২৭) ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (২৬) তাঁকে মারধর করেছেন। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন।

 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ভিজিএফের স্লিপের মধ্য থেকে ৫০টি স্লিপ দাবি করে আসছিলেন সুমন চন্দ্র রায় ও আবুল কালাম আজাদ। ওই স্লিপ না দেওয়ার জন্য ওই দুজন এরশাদুলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমন চন্দ্র রায় ও আবুল কালাম আজাদ মহেন্দ্রনগর ইউপি কার্যালয়ে আসেন। কার্যালয় চত্বরের গোল ঘরে এরশাদুল হককে দেখতে পেয়ে তাঁরা মারধর করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

 

এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ইউপি কার্যালয়ের সামনে চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ মণ্ডলসহ ১১জন সদস্য সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়কের দুই দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সুজন সেখানে যান এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যকে সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দেন। পরে তাঁরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।

 

মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ মণ্ডল বলেন, ইউপি সদস্য এরশাদুল হক আওয়ামী লীগের নেতা। হামলাকারী দুজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা দিনের বেলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসে এরশাদুল হককে মারপিট করে আহত করেছেন। এটা বিব্রতকর ও দুঃখজনকই। একই সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। আমি ঘটনার সঠিক ও কঠিন বিচার দাবি করছি।

 

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওমর ফারুক বলেন, ইউপি সদস্য এরশাদুল হক দুজনের বিরুদ্ধে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone