শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
১৫হাজার মানুষের যাতায়াতে ভাসমান ড্রামের উপর বাঁশের সাঁকো

১৫হাজার মানুষের যাতায়াতে ভাসমান ড্রামের উপর বাঁশের সাঁকো

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটে সতী নদীর উপর ভাসমান ৫০ফুট সুদীর্ঘ ড্রামের উপর বাঁশের সাঁকোতে ১৫হাজার মানুষের যাতায়াত। বিগত বছরগুলোতে এলাকাবাসী অতি কষ্টে পানিতে ভিজে যাতায়াত করেছেন। ভাসমান এ সাঁকোতে এলাকাবাসীর মুখে মুখে হাসি ফুটেছে। ড্রাম ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে ৫০ফুট দূরত্বে প্রায় ১৫হাজার মানুষের জন্য সাঁকো তৈরি করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম আলী।

 

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সতী নদীর উপর ড্রামের উপর বাঁশের সাঁকো উদ্বোধনের পর থেকে ওই এলাকার মানুষের যাতায়াত শুরু হয়। এতে খুশি পুরো এলাকাবাসী।

 

জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের শালমাড়া ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে যাওয়া আসার একমাত্র পথ সতী নদী। নদী পার হয়েই শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষকে হাট-বাজার করতে হয়।

সবার কষ্টের কথা চিন্তা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড্রামের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরির উদ্যোগ নেন। এরপর তিনি নিজস্ব ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ২০টি ড্রাম ও শতাধিক বাঁশের সমন্বয়ে একটি ভাসমান বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। সাঁকোটি নির্মাণ হওয়ায় এলাকার মানুষ খুবই খুশি। তার এমন মহতী উদ্যোগ এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

 

উদ্যোক্তা ইব্রাহীম আলী বলেন, ড্রাম ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে ৫০ফিট দূরত্বে প্রায় ১৫হাজার মানুষের জন্য একটি সাঁকো তৈরি করি। কারণ কিছুদিন থেকে সতী নদীর উপর নির্মিত সেতু ভেঙে পড়ে আছে। নদীর দুই পাশে প্রায় ১৫হাজার মানুষের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদরাসার কয়েক শত শিক্ষার্থী কোমর পানিতে নেমে আলাদা পোশাক ব্যবহার করে যাতায়াত করে। আমার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ভয়ে ভয়ে যাতায়াত করে। এ জন্য আমি নিজ উদ্যোগে ও কয়েকজন বন্ধু মিলে ২০টি ড্রাম ও ১শতটি বাঁশ দিয়ে ৫০ফুট বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করি। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়।

 

নওদাবাস দাখিল মাদরাসার সুপার রুহুল আমিন বলেন, শালমারা ঘাটে একটি সেতু ছিল সেটি হঠাৎ করে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ভাঙার পর থেকে মানুষের খুব অসুবিধা।

 

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এক বুক পানি পেড়িয়ে বাড়ি ফিরি অনেক কষ্ট আর দুর্ভোগ নিয়ে। এখন ড্রাম সেতু হওয়ায় আমরা খুব খুশি। এখন শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই স্কুলে যেতে পারছে।

 

কলেজ শিক্ষার্থী সজল বলেন, আমি সাইকেল ঘাড়ে করে এক বুক পানি পাড় হয়ে এলাম। সেতুটি ভাঙার পর দুর্দশায় ভুগছি। দেখার কেউ নেই। চেয়ারম্যান-মেম্বার কেউ দেখেও না।

 

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম বলেন, সতী নদীর উপর আগে একটি সেতু ছিল সেটি ভেঙে যাওয়ার কারণে এলাকার মানুষ কষ্টে পারাপার করছেন। ওই সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নির্মাণ কাজও শীঘ্রগিরই শুরু হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone