শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
ছয়টি গ্রামের মানুষের ভরসা একটি বাঁশের সাকো

ছয়টি গ্রামের মানুষের ভরসা একটি বাঁশের সাকো

আলোর মনি রিপোর্ট: অপেক্ষায় কেটেছে দীর্ঘ ৫১বছর; কেউ কথা রাখেনি। ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে সেতু হয়নি। সেতু না হওয়ার কষ্টে রয়েছেন ৬টি গ্রামের মানুষ। দুর্ভোগ সয়ে এলাকাবাসী বর্ষায় নৌকা আর শুস্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে এই নদ পারাপার হচ্ছেন। সেতু না হওয়ার কারণে এলাকার রাস্তাসহ অন্য কোনো উন্নয়নও তেমন হয়নি। এভাবেই অপেক্ষা করছেন লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ভ্যাড়ভেড়ী চরের বাসিন্দারা। ধরলা নদীর তীরের কয়েক হাজার মানুষের দাবি ভ্যাড়ভেড়ী চর এলাকায় ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে একটি পাকা সেতু নির্মাণ।

সরেজমিন দেখা যায়, ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে খেয়া নৌকার পরিবর্তে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। উঁচু-নিচু হওয়ায় বয়স্ক মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। নিরুপায় হয়ে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন এই ওয়াপদা বাঁধের খাল।

ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে উত্তর পার্শ্বে বড়বাসুরিয়া, চর মেকলি, চর বুদারু গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে সেতু না থাকায় তাদের গ্রামে পাকা সড়ক হয়নি। ক্যানেলটি খরস্রোতা হওয়ায় খেয়া নৌকায় পারাপার হতে সময় লাগে কয়েক মিনিট। ছেলে-মেয়েদের স্কুুল-কলেজে যাতায়াত, ফসল পরিবহনসহ উপজেলা সদরে যেতে হয় ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেল পার হয়ে। ভরা বর্ষায় খেয়া নৌকা এবং শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকোয় পার হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে অধ্যুষিত এলাকাটি কৃষি প্রধান। ভ্যাড়ভেড়ী চর সংলগ্ন ঘাট/ সাকো হয়েই ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে উত্তর পাশের বড়বাসুরিয়া, চর মেকলি, চর বুদারু গ্রামের মানুষ, তাদের খেতের ফসল পারাপার এবং জেলা-উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে থাকেন। তা ছাড়া দক্ষিণ পাশের কাইম বাঁসুরিয়া, একতার বাজার গ্রামের মানুষ ওই গ্রামগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ এবং ধরলা নদীর চরের ফসল নিয়ে আসে। সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ভ্যাড়ভেড়ী চরের মানুষ বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫১বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকা ও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করি। তবে এখানে একটি সেতু হলে আমাদের কষ্ট অনেক লাঘব হবে এবং মানুষ উন্নত জীবনযাপন করতে পারবেন।

 

এদিকে, শুক্রবার (২৭ মে) জুম্মা বাদ চলতি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী (টি,আর)র আওতায় ৩য় কিস্তির বরাদ্দকৃত ৮৭হাজার ২শত টাকা দ্বারা বড়বাড়ি ইউনিয়ন এর ৮নং ওয়ার্ডের বড়বাসুরিয়া মৌজায় ওয়াপদা বাঁধ সংলগ্ন খালের উপর ড্রাম ও বাঁশ দ্বারা সাঁকো নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষে উক্ত সাঁকোটি জনগণের চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করণসহ শুভ উদ্বোধন করেন বড়বাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হবি। এ সময় বড়বাড়ী ইউনিয়নের সদস্যগণ ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম মন্ডল এবং বড়বাসুরিয়া মৌজার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

 

উল্লেখ্য যে, উক্ত বাশের সাঁকোটি নির্মাণের ফলে বড়বাসুরিয়া মৌজার চরাঞ্চলের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানসহ বর্ষাকালীন সময়ে যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা হলো। বাশের সাঁকোটি পেয়ে এলাকার জনগণ খুবই সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone