শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর
কৃষকরা গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে

কৃষকরা গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে

Exif_JPEG_420

আলোর মনি রিপোর্ট: উৎপাদন খরচ না ওঠায় গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে লালমনিরহাটের কৃষকেরা। গত কয়েক বছর যাবৎ সরকারের কাছে গম বিক্রি করতে না পারাসহ ক্রমাগত লোকসানের পরে এখন অন্য ফসল উৎপাদনে ঝুঁকছেন তারা।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও বাজারে দাম না পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে গম উৎপাদনও হ্রাস পাচ্ছে। তবে এ অবস্থা কাটাতে উন্নত জাতের গম আবাদের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

 

লালমনিরহাটে কৃষিজাত ফসলের অন্যতম আবাদ ছিল গম। এক সময় ব্যাপক হারে গম উৎপাদন হতো লালমনিরহাট জেলায়।

 

শীত দীর্ঘমেয়াদি থাকাসহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ লালমনিরহাট জেলায় গমেরও বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু সরকারের ঘোষিত ন্যায্য দরে সংগ্রহ অভিযানে গম দিতে না পারা, বাজার নিম্নমুখী হওয়ায় ক্রমাগত লোকসান গুনতে হয়েছে চাষিদের। তাই এ জেলায় গমের আবাদও কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে।

 

কৃষকদের অভিযোগ, উৎপাদন খরচ না ওঠায় গমের আবাদ থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন তারা। তাই এখন বিকল্প ফসল উৎপাদনে ঝুঁকছেন তারা।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কোদালখাতা গ্রামের কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গমের ফলন কমছে। তারপর গম বিক্রি করে দাম কম পাই। খরচও ওঠে না।

ওই উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী বলেন, সরকারের গম সংগ্রহে কৃষকরা গম দিতে পারে না। সরকার গমের উচ্চ দাম ঘোষণা করলেও এর সুফল পায় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। তাই গম চাষে আগ্রহ তেমন নাই।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকা জানান, ১হাজার ২০জন কৃষককে গম চাষের জন্য ২০হাজার ৪শত কেজি বীজ, ১০হাজার ২শত কেজি ডিএপি সার ও ১০হাজার ২শত কেজি এমওপি সার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য যে, গমের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে চাষিদের গম আবাদে উৎসাহ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা না করলে আগামীতে এ জেলায় গম আবাদে ভাটা পড়বে। ফলে গম উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone