বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ এনামুল হক বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত আ’লীগ নেতা শফিকুল বিদ্যালয়ের সভাপতি পর কেলেঙ্কারি বাড়ছে! শাওন রাতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার ১৩৩ তম তিরোধান উৎসব অনুষ্ঠিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ; তদন্ত কমিটি গঠন! বায়ান্নর ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদের মৃত্যুতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত কিন্ডার হিল্পস্ ওর্য়্যাক সংস্থার স্পন্সরপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প এখন বিলুপ্ত প্রায়

আলোর মনি রিপোর্ট
  • প্রকাশের তারিখ : সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০
  • ২১৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ ও হেলাল হোসেন কবির:

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ও মহিষামুড়ী গ্রামের প্রসিদ্ধ তাঁত শিল্প এখন বিলুপ্ত প্রায়। অথচ এক সময় এর ঐতিহ্য হিসেবে ছিল এ দুটি গ্রামের খ্যাতি গোটা অবিভক্ত বাংলাজুড়ে। নিভৃত পল্লীর নিস্তবতা ভেদ করে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁতের খটখট শব্দে নিপুন শিল্পীর হাতে  চলতো বুননের কাজ। বিভিন্ন স্থানে এখান থেকে সরবরাহ হতো নানা জাতের কাপড়। এখানকার তৈরি শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি, চাদর, গামছা এসব পণ্যের যথেষ্ট কদর থাকায় সে সব সরবরাহ হতো দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু তা এখন সোনালী অতীত। বর্তমানে এখানকার তাঁতীরা আর ভালো নেই। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও পুঁজির অভাব রং, সুতা ইত্যাদি উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা আর সংকটের কারণে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটি এখন হুমকির মুখে। নানমুখী সমস্যা সংকটের মুখে অনেকগুলো তাঁত ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক পরিবার দিন কাটাচ্ছে মানবেতর। অনেকে জীবিকার তাগিদে বেছে নিয়েছে দিন মজুরীর কাজ। লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ও মহিষামুড়ি গ্রাম। এ দুটি গ্রাম তাঁত শিল্পের জন্য সু-পরিচিত এবং বিখ্যাত। ৩শতাধিক তাঁতী পরিবারের বসবাস এ দুটি গ্রামে। পুঁজির অভাবে এ দুটি তাঁত পল্লীর তাঁত শিল্প বন্ধ হতে চলেছে। সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন ভাবেই এখানকার তাঁতীরা পায়নি কোন অনুদান কিংবা ঋণ সহায়তা। পৃষ্ঠপোষকতার অভাব রং, সুতা ইত্যাদি উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ পেশায় টিকে থাকা অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তাঁতী পরিবারগুলো এখন দিন কাটাচ্ছে মানবেতর। গত কয়েক মাসে এই সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে  বলে তাঁতী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জীবিকার তাগিদে এসব তাঁতি পরিবারের অনেকেই বেছে নিয়েছেন দিনমজুরসহ অন্যান্য পেশা। অনেকেই তাদের পূর্ব পুরুষের পেশাকে আঁকড়ে ধরে নিরস্তর সংগ্রাম করে চলেছে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, সহজ শর্তে ঋণ দান ও উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করা গেলে কাকিনা ও মহিষামুড়ি তাঁত পল্লীর অতীত ঐতিহ্য আবারও ফিরিয়ে আনা সম্ভব এবং দরিদ্র তাঁতি পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করে তোলা সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102