মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:
লালমনিরহাট জেলায় সরকারী ও ব্যক্তি মালিওকানাধীন ও অনেক দীঘি রয়েছে। এ গুলোর মধ্যে প্রসিদ্ধ কপিতয় দীঘি হচ্ছে- সিন্দুরমতি দীঘি ও (জলকর ১৩একর, মোট প্র্রায় ১০একর), সুকান দীঘি (জলকর ৩৬একর, মোট প্রায় ৪৯একর ৪০শতক), বানিয়ার দীঘি (২একর ৫৩শতক), ফড়িংএর দীঘি (প্রায় ১.৫একর), সাহেবের দীঘি (প্রায় ১.৫একর), বালাপুকুর (৫একর ৩৭শতক), কোঁদাল ধোয়া দীঘি (প্রায় ২একর) কাটানীর দীঘি (প্রায় ৪একর), বিশ্বকর্মার দীঘি (১একর ৮০শতাংশ যা বর্তমানে বাবুওল সরকারের দীঘি নামে দূর্গাপুরে পরিচিত), শন্তু সাুগর (২০দোন), ধোপার দীঘি (১৮দোন), রানী ভগবতীর জলছত্র (প্রায় ২.৫একর) নদী জেলার বুক চিরে রহমান তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান, শিংগীমারী, রত্নাই, স্বর্ণামতি, সতী প্রভৃতি নদী। এককালের খর স্রােতীনদী হারিয়ে হয়েছে মরাসতী।
তিস্তা ও ধরলা এখানকার প্রধান নদী। তিস্তা ভারতের পার্বত্য সিকিম হিমালয় থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর দার্জিলিং জলপাইগুড়ি ও কুচবিহারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলাধীন ছাতনাই গ্রামের প্রায় ১কিলোমিটার উত্তর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ নদী নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গাইবান্ধার কামারজানি মৌজায় ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়েছে। ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিস্তাই ছ্রিল উত্তরবঙ্গের প্রধান নদী।
লালমনিরহাট জেলার এ নদীর ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোর মধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, হারাটি ইউনিয়নের রাজপুর, তাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের পাঙ্গাটারী এবং আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, হাতীবান্ধার পারুলিয়া এলাকা উল্লেখযোগ্য। ধরলা নদী নিম্ন হিমালয় অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে কুচবিহারের তোরসা ও মানসাই নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে এ নাম ধারন করে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এ নদী পাটগ্রামের পুলিশ স্টেশনের সীমানা পেরিয়ে আবার ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করেছে। অতঃপর আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ফুলবাড়ী ও লালমনিরহাটের সীমানা ঘেষে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়েছে। লালমনিরহাট জেলায় এ নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়ন এবং আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন উল্লেখযোগ্য।