শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করোনাকালে দেউলিয়া চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষ অসহায়

করোনাকালে দেউলিয়া চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষ অসহায়

পীর হাবিবুর রহমান:

 

জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ নেন।ক্ষমতা গ্রহণ করেন শপথে। মন্ত্রী হন। শপথ ভাঙ্গেন। সংবিধান আইন ও জনগনের কাছে দেয়া ওয়াদার বরখেলাপ করেন। দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দেন। অব্যবস্থাপনা শুরু হয় এখানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই বিশ্বাস করেন তিনিই বিশ্বাস ভঙ্গ করেন। এভাবেই দেশের স্বাস্থ্যখাতে জনগনের বরাদ্দের অর্থ লুট হয়। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত নিরাপদ করা যায়নি। চিকিৎসা ব্যবস্থা দেউলিয়া হয়। যে চিকিৎসক জনগনের টাকায় লেখাপড়া করে ডাক্তার হন, যে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগনের টাকায় পড়াশোনা করে দায়িত্ব পান তাদের একটা অংশ দূর্নীতির সিন্ডিকেটকে শক্তিশালী করেন। লোভ লালসা পবিত্র সেবার ঈমানি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। কেরানী আবজাল ১৫শকোটি টাকা বানিয়ে বিদেশ পালায়। পর্দার দাম ৩৭লাখ হয়। ৫হাজার টাকার বই ৮৫হাজার। জাইমার রাজ্জাকের হাতে রাখা হয় সরবরাহ। জাল মাস্ক সরবরাহ ধরা পড়লেও রক্ষা হয়। তদন্ত রিপোর্ট আসেনা। লাইসেন্স বাতিল হয়না। মিঠি সিন্ডিকেট বহাল দাপটেই থাকে।

 

করোনাকালে দেউলিয়া চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষ অসহায়। কত বড় বড় বিত্তশালী, কত ক্ষমতাবান নেতা, বিভিন্ন পেশার মানুষ, এমনকি কত চিকিৎসকও জীবন দিচ্ছেন। বড় বড় কথা বলার প্রতিযোগিতা করেছেন ক্ষমতাবানরা। চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পারেননি। মানুষ আজ চিকিৎসা পায়না কোথায়। আইসিইউ নেই, অক্সিজেনের হাহাকার। করোনার বাইরেও চিকিৎসা নেই হাসপাতালে ডাক্তাররা অনেকে লড়ছেন। তবু সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে সুসংগঠিত শক্তিশালী চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়া যায়নি। দেশের অন্যখাতের চিত্রও হয়তো করুন। করোনায় স্বাস্থ্যের মেকাপ খুলে দিলে কুৎসিত চেহারা বেরিয়ে এসেছে। লুটপাটে ডুবে থাকাদের এ খাতে রেখে সময় উত্তীর্নের সুযোগ নেই। এদের বের করে দিতে হবে। মহামারি বাড়ছে। প্রতিরোধের প্রথমপর্বে ব্যর্থ। এখন প্রতিকার। চিকিৎসা ও সেবা দিতেই হবে। অভিশপ্ত লুটেরাদের জন্য মানুষ জীবন দিতে পারেনা।

 

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone