বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১২:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ এনামুল হক বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত আ’লীগ নেতা শফিকুল বিদ্যালয়ের সভাপতি পর কেলেঙ্কারি বাড়ছে! শাওন রাতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার ১৩৩ তম তিরোধান উৎসব অনুষ্ঠিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ; তদন্ত কমিটি গঠন! বায়ান্নর ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদের মৃত্যুতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত কিন্ডার হিল্পস্ ওর্য়্যাক সংস্থার স্পন্সরপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠিত

করোনাকালে দেউলিয়া চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষ অসহায়

আলোর মনি রিপোর্ট
  • প্রকাশের তারিখ : রবিবার, ৭ জুন, ২০২০
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

পীর হাবিবুর রহমান:

 

জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ নেন।ক্ষমতা গ্রহণ করেন শপথে। মন্ত্রী হন। শপথ ভাঙ্গেন। সংবিধান আইন ও জনগনের কাছে দেয়া ওয়াদার বরখেলাপ করেন। দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দেন। অব্যবস্থাপনা শুরু হয় এখানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই বিশ্বাস করেন তিনিই বিশ্বাস ভঙ্গ করেন। এভাবেই দেশের স্বাস্থ্যখাতে জনগনের বরাদ্দের অর্থ লুট হয়। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত নিরাপদ করা যায়নি। চিকিৎসা ব্যবস্থা দেউলিয়া হয়। যে চিকিৎসক জনগনের টাকায় লেখাপড়া করে ডাক্তার হন, যে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগনের টাকায় পড়াশোনা করে দায়িত্ব পান তাদের একটা অংশ দূর্নীতির সিন্ডিকেটকে শক্তিশালী করেন। লোভ লালসা পবিত্র সেবার ঈমানি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। কেরানী আবজাল ১৫শকোটি টাকা বানিয়ে বিদেশ পালায়। পর্দার দাম ৩৭লাখ হয়। ৫হাজার টাকার বই ৮৫হাজার। জাইমার রাজ্জাকের হাতে রাখা হয় সরবরাহ। জাল মাস্ক সরবরাহ ধরা পড়লেও রক্ষা হয়। তদন্ত রিপোর্ট আসেনা। লাইসেন্স বাতিল হয়না। মিঠি সিন্ডিকেট বহাল দাপটেই থাকে।

 

করোনাকালে দেউলিয়া চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষ অসহায়। কত বড় বড় বিত্তশালী, কত ক্ষমতাবান নেতা, বিভিন্ন পেশার মানুষ, এমনকি কত চিকিৎসকও জীবন দিচ্ছেন। বড় বড় কথা বলার প্রতিযোগিতা করেছেন ক্ষমতাবানরা। চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পারেননি। মানুষ আজ চিকিৎসা পায়না কোথায়। আইসিইউ নেই, অক্সিজেনের হাহাকার। করোনার বাইরেও চিকিৎসা নেই হাসপাতালে ডাক্তাররা অনেকে লড়ছেন। তবু সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে সুসংগঠিত শক্তিশালী চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়া যায়নি। দেশের অন্যখাতের চিত্রও হয়তো করুন। করোনায় স্বাস্থ্যের মেকাপ খুলে দিলে কুৎসিত চেহারা বেরিয়ে এসেছে। লুটপাটে ডুবে থাকাদের এ খাতে রেখে সময় উত্তীর্নের সুযোগ নেই। এদের বের করে দিতে হবে। মহামারি বাড়ছে। প্রতিরোধের প্রথমপর্বে ব্যর্থ। এখন প্রতিকার। চিকিৎসা ও সেবা দিতেই হবে। অভিশপ্ত লুটেরাদের জন্য মানুষ জীবন দিতে পারেনা।

 

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102