শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
официальному Сайт ᐉ 500% На Первые полтора Депозита На Официальном Сайте Букмекера а Казино 1вин Игроки Найдут Широкую Спортивную Линию И и Тысяч Слотов: дли Всех Клиентов Оператор 1win Предлагает Бонус На Первый обналичил И Еженедельные Ваучеры Glory Casino Download Cellular App For Android And Ios Devices For Free আমাদের মূল লক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত তিস্তা নদীর দু’পাড় তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু Казино 1win Играть Онлайн Бесплатно, Официальный Сайт, Скачать Клиент Online Game Titles In Bangladesh For Real Money Top On Line Casino En Ligne: Manual 2024 Pour Joueurs Français তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবীতে ২দিন ব্যাপী তিস্তা নদীর দুপাড়ে ৪৮ ঘন্টাব্যাপী জনতার সমাবেশ লালমনিরহাটে বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান-২০২৫ অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে ৪৪বছর ধরে গ্রামবাসীর স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন জহিরন বেওয়া

লালমনিরহাটে ৪৪বছর ধরে গ্রামবাসীর স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন জহিরন বেওয়া

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: ৪৪বছর ধরে বাইসাইকেল চালিয়ে গ্রামবাসীকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছেন জহিরন বেওয়া (৯০)। রোজ প্রতিদিন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে অসুস্থ্য দরিদ্র মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়াই হলো তাঁর মূল কাজ। জহিরন বেওয়া লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের মৃত সায়েদ আলী-এর স্ত্রী। লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার কম বেশি সবাই তাকে নানী বললেই ডাকেন।

জানা গেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর ৩পুত্র আর ২কন্যাকে নিয়ে সংসার সংগ্রামে নেমে পড়েন জহিরন বেওয়া। প্রায় ৮বছর আগে বড় পুত্র দানেশ আলী (৬৮) এর মৃত্যুর পর ছোট পুত্র তোরাব আলী (৫৯) কে নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে জহিরন বেওয়া পরিবার ও পরিকল্পনা বিষয়ে ৬মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর চুক্তিভিত্তিক মাসিক মজুরিতে কাজে যোগ দেন তিনি। তাঁর নিজ গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে বাইসাইকেল চালিয়ে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছেন জহিরন বেওয়া। সবশেষে ৫শতত টাকা মাসিক মজুরি পেয়ে প্রায় ১০বছর চাকুরি করে অবসরে যান তিনি। তাঁর অর্জিত অভিজ্ঞতা দিয়ে বাড়িতে বসে না থেকে আবারও গ্রামবাসীর স্বাস্থ্য সেবায় নেমে পড়েন জহিরন বেওয়া।

 

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি ও শারিরীক দুর্বলতাসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। চিকিৎসার জন্য তাকে কোন অর্থ দিতে হয়না। শুধু ঔষুধদের মূল দিতে হয়। ঔষুধ বিক্রি করে প্রতিদিন গড়ে ১শত ৫০টাকা আয় হয় তার। তা দিয়েই কোন রকম চলছে তার সংসার। লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার প্রায় ৩০টি গ্রামে প্রায় ২হাজারের বেশী পরিবারের সাথে রয়েছে তাঁর নিবির যোগাযোগ। রোজ প্রতিদিন বাইসাইকেল চালিয়ে কমপক্ষে ৭টি গ্রামের ৭০টি বাড়িতে রোগীর খোঁজখবর নেন তিনি। বিগত ৫০বছরে কোন রোগে আক্রান্ত হননি তিনি এমনটাই দাবী তাঁর।

 

ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের রহমত আলী (৫৫), চন্দনপাট গ্রামের জিলহাজ আলী (৫০) সাংবাদিকদের বলেন, ৪৪বছর ধরে জহিরন বেওয়া বাইসাইকেল চালিয়ে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন। জহিরন বেওয়া গ্রামের গরীব মানুষের ডাক্তার। অনেক গরীব মানুষ তার কাছে বিনামূল্যে ঔষুধ নিয়ে থাকেন। আর বড় ধরনের অসুখ-বিসুখ হলে তিনি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন বলে জানান তারা।

 

জহিরন বেওয়া-এঁর ছোট ছেলে তোরাব আলী (৫৯) সাংবাদিকদের বলেন, বার বার চেষ্টা করে যাচ্ছেন মাকে বাইসাইকেল চালিয়ে বাইরে না যেতে। কিন্তু কোন বাঁধাই মানছেন না তাঁর মা এমনটাই দাবী তার।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone