শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আমরা ক’জন নাট্য গোষ্ঠীর ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সাংবাদিকের পিতা আফজাল হোসেনের ইন্তেকাল লালমনিরহাটে জিয়া সাইবার ফোর্স জেলা শাখার আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন লালমনিরহাটে সুন্দরমের তিন দশক পূর্তি উৎসব উপলক্ষে আবৃত্তি, গান, নৃত্যানুষ্ঠান, আলোচনা ও আড্ডা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে পূজা পুণর্মিলনী ২০২৪ ও শ্রীশ্রী গৌরীশঙ্কর গোশালা সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত রংপুর আঞ্চলিক বিটিভি উপ-কেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র হিসেবে চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের উত্তর বাংলা কলেজের প্রভাষক এস. তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর তামান্না অনশন কর্মসূচী লালমনিরহাটে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও সদস্যাগণের বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত
এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিও-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত সোহেলের

এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিও-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত সোহেলের

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উত্তর ধুবনী গ্রামের তাঁতী ঠান্ডু মিয়ার দ্বিতীয় পুত্র সোহেল রানা। সে এবার হাতীবান্ধা এসএস সরকারি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ভোকেশনাল শাখায় এসএসসি পরীক্ষা-২০২০ এরর ফলাফলে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

 

বাবা (ঠান্ডু মিয়া)র সাথে তাঁতের কাজ করে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া সোহেল রানা লেখাপড়া করে প্রকৌশলী হতে চায়। কিন্তু তাঁর সেই স্বপ্নে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্রারিদ্রতা। এসএসসির ফলাফল প্রকাশের পর সোহেল রানার এখন ঘুম কেড়ে নিয়েছে সেই প্রশ্ন, গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে লাভ কি? কলেজে ভর্তি হতে পাবো কি…..?

 

জানা যায়, আবহমান গ্রাম বাংলায় এক সময় তাঁত শিল্পের বেশ কদর থাকলেও আধুনিক বিশ্বে তাঁত শিল্প ধ্বংসের পথে বসেছে। এ পেশার মানুষজন পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেলেও সোহেল রানার বাবা ঠান্ডু মিয়া এখনো পৈতিক পেশা তাঁত শিল্পকে নিয়েই বেঁচে আছেন। সংসারে অভাব আর অনাটনের কারণে তার ১ছেলে ও ১মেয়েকে লেখাপড়া করা সম্ভব হয়নি। ওই ছেলে-মেয়ে বর্তমানে ঢাকায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। মাঝে মধ্যে তার স্ত্রীও ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন কাজ করেন। ওই পরিবারের তৃতীয় সন্তান সোহেল রানা লেখাপড়ায় বেশ পারদর্শী হওয়ায় তাকে লেখাপড়া করানোর স্বপ্ন দেখেন পরিবারের অন্য সদস্যরা।

 

অভাব আর অনটনের মাঝেই শুরু হয় সোহেল রানার লেখাপড়া নামক যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে সে জয়ী। সোহেল রানা লেখাপড়ার পাশাপাশি তার বাবাকে তাঁতের কাজে সহযোগিতাও করেন। সেই সোহেল রানা এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ভোকেশনাল শাখা থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে । ইতিপূর্বে সোহেল রানা পিইসি ও জেএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এখন সে স্বপ্ন দেখছেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রকৌশলী হওয়ার। কিন্তু ওই স্বপ্ন দারিদ্রতার কাছে আটকে যাবে না তো।

 

গোল্ডেন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেন, আমি তো পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমি এইচএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেতে চাই। কিন্তু আমাকে আমার বাবা কলেজে ভর্তি করে দিতে পাবে তো? ভর্তি করে দিলেও আমার বাবার পক্ষে আমার লেখাপড়ার খচর যোগার করা সম্ভব নয়। তাহলে দারিদ্রতার কাছে আমি কি হেরে যাবো? গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে লাভ কি? কলেজে ভর্তি হতে পাবো কি?

 

হাতীবান্ধা এসএস সরকারী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, সোহেল রানা একজন মেধাবী ও ভদ্র শিক্ষার্থী। তার পরিবারে আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। যদি কেউ সোহেল রানাকে সহযোগিতা করেন তাহলে সে একদিন দেশের সম্পদ হয়ে উঠবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone