এ বছর সারাদেশের ন্যায় এবারও লালমনিরহাটে বোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলেও শ্রমিক এবং আর্থিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন লালমনিরহাটের অনেক কৃষক-কৃষাণীরা।
এ অবস্থায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু-এঁর নির্দেশে অসহায় কৃষক-কৃষাণীদের ধান কেটে দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল। লালমনিরহাট জেলা কৃষক দলের সভাপতি নূরনবী মোস্তফা এ আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় লালমনিরহাট জেলা ও উপজেলা কৃষক দলের আহবানে সারা দিয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক কৃষ্ণ চন্দ্রের ১৫ শতক জমির রোপা-আমন ধান কেটে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কৃষক দলের নেতাকর্মীরা।
পাকা ধান কাটায় অংশ নেয় লালমনিরহাট জেলা কৃষক দলের সভাপতি নূরনবী মোস্তফা, লালমনিরহাট সদর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক সারওয়ারুল হক লিংকন, সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি একরামুল হক পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আজাদুল হক রাজা, হারাটি ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, সহ-সভাপতি হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক মশিয়ার রহমানসহ লালমনিরহাট জেলা ও উপজেলা কৃষক দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ ধান কাটার কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন।
এছাড়াও পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক প্রদীপ কুমারের ৩০ শতক, রাখাল চন্দ্রের ২৫ শতক, লুৎফর রহমানের ২৫ শতক, লিটন মিঞার ৩০ শতক ও অসুস্থ রিক্সা চালক মজনু মিঞার স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের ২০ শতক জমির রোপা-আমন ধান কেটে দেন কৃষক দল।
এ সময় কথা হয় কৃষক প্রদীপ কুমার, রাখাল চন্দ্র, লুৎফর রহমান, কৃষ্ণ চন্দ্র, লিটন মিঞা, মোর্শেদা বেগমের সাথে, তারা জানান, অর্থ ও শ্রমিকের চরম সংকট থাকায় ধান কাটতে বেশ বিলম্ব হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ কৃষক দলের অনেক নেতা-কর্মীরা আমাদের আবাদি জমির ধান কেটে দেওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হলো, সেই সাথে কৃষক-কৃষাণীরা কৃষক দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
এদিকে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের হারাটি ইউনিয়নের কৃষক এন্তাদুল হকের ৭০ শতক, উসমান আলীর ২০ শতক, নূর আলমের ৪০ শতক, সিরাজুল হকের ৪০ শতক, মমিনুল হকের ৩৫ শতক, শামসুল হকের ৩০ শতক, সাইদুলের ২০ শতক জমির রোপা-আমন ধান কেটে দেয়া হয়।
অপরদিক আগামীকাল শুক্রবার (২১ নভেম্বর) লালমনিরহাটের গোকুন্ডা ইউনিয়নে এ ধান কাটা কর্মসূচি চলবে মর্মে জানিয়েছে কৃষক দল।
লালমনিরহাট জেলা কৃষক দলের সভাপতি নূরনবী মোস্তফা বলেন, পর্যায়ক্রমে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের অসহায় কৃষক-কৃষাণীদের পাকা ধান কাটা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।