লালমনিরহাট জেলার সিভিল সার্জন অফিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে সর্বমোট মঞ্জুরীকৃত চিকিৎসক পদ রয়েছে ১শত ৩৭টি। এর বিপরীতে বর্তমানে চিকিৎসক কর্মরত আছেন মাত্র ৪৭জন। অর্থাৎ মঞ্জুরীকৃত পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৩৪% এবং পদ শূন্য রয়েছে প্রায় ৬৬%।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন অফিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটে জোড়াতালি দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। এতে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লালমনিরহাটের জেলা ও উপজেলাবাসী। দ্রুত চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট নিরসনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এক নজরে চিকিৎসকের তথ্যাদি সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিসে মঞ্জুরীকৃত পদ ০৩টি, কর্মরত পদ ০২টি, শূণ্য পদ ০১টি। লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঞ্জুরীকৃত পদ ১৩টি, কর্মরত পদ ০৬টি, শূণ্য পদ ০৭টি। আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঞ্জুরীকৃত পদ ২৯টি, কর্মরত পদ ১২টি, শূণ্য পদ ১৭টি। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঞ্জুরীকৃত পদ ২৯টি, কর্মরত পদ ০৯টি, শূণ্য পদ ২০টি। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঞ্জুরীকৃত পদ ৩১টি, কর্মরত পদ ০৯টি, শূণ্য পদ ২২টি। পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঞ্জুরীকৃত পদ ২৮টি, কর্মরত পদ ০৮টি, শূণ্য পদ ২০টি। দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা ২০ শয্যা হাসপাতালে মঞ্জুরীকৃত পদ ০৪টি, কর্মরত পদ ০১টি, শূণ্য পদ ০৩টি। মোট=মঞ্জুরীকৃত পদ ১৩৭টি, কর্মরত পদ ৪৭টি, শূণ্য পদ ৯০টি। মন্তব্যে উল্লেখ্য করা হয়েছে ইউনিয়ন সাব-সেন্টারসহ।
সিভিল সার্জন অফিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও কর্মচারীর সংকট থাকায় কোনো রকমে চলছে স্বাস্থ্য সেবার কাজ। চিকিৎসক ও কর্মচারী পদে শূন্য থাকায় উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। ফলে চরম ভোগান্তি নিয়ে লালমনিরহাটের জেলা ও উপজেলার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ও পরিবারগুলোকে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে রংপুর ও ঢাকা যেতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম জানান, তীব্র জনবল সংকট নিয়ে চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন লালমনিরহাট জেলার স্বাস্থ্যকর্মীগণ। চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরি সব সমস্যা দ্রুত কেটে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।