শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে নয়নাভিরাম ফুল “কচুরিপানা” তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা
লালমনিরহাটে বিশ্ব পরিবেশ ২০২৫ উপলক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে বিশ্ব পরিবেশ ২০২৫ উপলক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে “প্লাষ্টিক দূষণ আর নয়” স্লোগানে বিশ্ব পরিবেশ ২০২৫ উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রোববার (১ জুন) সকাল ১১টায় লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) লালমনিরহাটের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

 

মানববন্ধনে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) লালমনিরহাটের সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবঃ) আজিজুল হক বীর প্রতীক, সহ-সভাপতি রাওয়ানা মার্জিয়া, সদস্য মোঃ রফিকুল আলম খান স্বপন, স্বপ্না জামান, রিয়াজুল হক সরকার, জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক, ইয়েস-এসিজি সদস্যবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।

 

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি, অধিপরামর্শ কার্যক্রম এবং এ সংক্রান্ত বহুমুখী উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ পালিত হয়।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে টিআইবি’র সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন। আন্তঃসরকার আলোচনা কমিটি বা আইএনসি সভার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সুপারিশ সমূহ হচ্ছে: প্লাস্টিক দুষণ রোধে-সংক্রান্ত চুক্তিটি দ্রুততার সাথে সম্পাদন করতে হবে। এক্ষেত্রে, জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব-সংশ্লিষ্টদের বাদ দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিশ্চিতের জোরালো দাবি উত্থাপন করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে একত্রে কাজ করা; চুক্তির আওতায় ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক তৈরিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং উৎপাদিত প্লাস্টিক বর্জ্যর শতভাগ পুনঃ প্রক্রিয়াজাতকরণের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণের দাবি উত্থাপন করা; প্লাস্টিক দূষণ রোধ-সংক্রান্ত চুক্তির আওতায় দেশগুলোকে প্লাস্টিক উৎস থেকে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের তথ্য স্বচ্ছতার সাথে নিরূপণ করা, সেই তথ্যর ভিত্তিতে এনডিসি’র তথ্য হালনাগাদ ও সংশোধন করে উপস্থাপনের দাবি উত্থাপন করা; চুক্তির আওতায় “দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের নীতি” বা দূষণকারী-প্রদানকারী নীতি এর ভিত্তিতে, প্লাস্টিক উৎপাদনকারীদের অবদান অনুযায়ী দূষণের দায় দূষণকারীকে গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে।

একই সাথে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা; “ন্যাশনাল থ্রিআর স্ট্রাটেজি ফর ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট” কৌশলপত্রটি হালনাগাদ ও সংশোধসহ পরিবেশ সংক্রান্ত বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির আলোকে একটি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন করা, প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ, পৃথকীকরণ, পুনঃ প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থাসহ একটি আধুনিক ও কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাগুলোর কারিগরি ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও জনসচেতা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, উদ্যোক্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী এবং তরুণসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; প্লাস্টিক শিল্পের জন্য আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি ও অন্যান্য প্রণোদনা হ্রাস করে পুনঃ প্রক্রিয়াজাতকরণকে উৎসাহিত করতে হবে; অপ্রাতিষ্ঠানিক প্লাস্টিক পুনঃ প্রক্রিয়াজাতকারীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করার লক্ষ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা; সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, বিশেষকরে উৎপাদনকারীর সম্প্রসারিত দায়িত্ব’ সম্পর্কিত নির্দেশিকাটির ব্যপক প্রচারণা নিশ্চিত করা; যত্রতত্র প্লাস্টিক ফেলা বন্ধ এবং পরিবেশ দূষণ রোধে সাধারণ জনগণের মধ্যে প্লাস্টিকের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা; নদী জলাশয় ও পরিবেশের বিভিন্ন উৎসে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য অপসরণসহ পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রমে নাগরিক উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং প্লাস্টিক দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতিসহ এখাত-সংশ্লিষ্ট অনিয়মের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone