শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে নয়নাভিরাম ফুল “কচুরিপানা” তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা
লালমনিরহাটে বৃষ্টি ও শ্রমিক সঙ্কটের কারণে কৃষকরা দিশাহারা

লালমনিরহাটে বৃষ্টি ও শ্রমিক সঙ্কটের কারণে কৃষকরা দিশাহারা

লালমনিরহাটে গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকেরা। ফসলি জমিতেই নষ্ট হচ্ছে ধান। বৃষ্টির পানি ও উজানে পাহাড় ঢলে ধানে পচন ধরার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।

 

লালমনিরহাট সদরের সাপটানা দোলা, আউদিয়ার দোলা ও মরাসতিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক দিন থেকে ভারী বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে ফসলি জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

 

অনেক জমিতে কৃষকরা ধান কেটে বেঁধে জমিতে রাখার পর এখন বৃষ্টির পানিতে ভাসছে। আধা পাকা ধান বৃষ্টি পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে কেটে ফেলছেন। এতে ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে জানান কৃষকরা। পানির নিচে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে ধান। ফলে শত শত কৃষক এখন দিশাহারা হয়ে পড়ছেন।

 

লালমনিরহাট জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে বছর জেলায় ৪৮হাজার ১৫হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫ হাজার হেক্টর ধান কাটা হয়েছে এখন প্রায় ৮হাজার হেক্টরের কিছু বেশি ধান পানির নিচে রয়েছে।

 

সংশ্লিষ্টরা জানায়, অধিকাংশ ফসলি জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে কয়েক দিন ধরে ধান কাটা যাচ্ছে না। জমে থাকা পানিতে নষ্ট হচ্ছে পাকা ধান। অন্য দিকে রয়েছে ধান কাটা শ্রমিকের সঙ্কট। ফলে বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।

 

অনেক কৃষক কোনো উপায় না পেয়ে স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে পানি থেকে আধা-পাকা ধান ঘরে তুলতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আবার অনেকে পানি থেকে তোলা ধান বৃষ্টি ও বজ্রপাতকে উপেক্ষা করে মাড়াই করছেন।

 

কাশিপুর এলাকার কৃষক এন্তা আলী জানায়,
ঝড় বৃষ্টিতে ধান মাটিতে পড়ে গেছে কাটতে পারিনি। এখন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বিঘা প্রতি সাত থেকে ৮হাজার টাকা দাম দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে বজ্রবৃষ্টির কারণে ধান কাটতে চান না শ্রমিকরা। তাই ফলন ভালো হলেও এবার খুব লসের মুখে পড়তে হবে।

 

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) গোলাম মোস্তফা মোঃ জোবাইদুর রহমান বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগাম বন্যা ও ভারী বৃষ্টির জন্য কৃষকদের ৮০ভাগ ধান পেকে গেলে দ্রুততম সময়ে কাটতে হবে। নাহলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone