লালমনিরহাটে লোকসংগীত চর্চার মাধ্যমে শিশুদের আত্মশুদ্ধি ও জীবনবৃদ্ধির লক্ষ্যে- লোক সংগীত উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) সকাল ১১টা ১০মিনিটে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তন উৎসব অঙ্গনে লালমনিরহাটের আদিতমারী মায়ের তরী-এর আয়োজনে এ লোক সংগীত উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।
মায়ের তরী’র প্রতিষ্ঠাতা ও নরওয়ের কবি, লেখক, লোকসংগীত গবেষক, আলোকচিত্র শিল্পী “মা” উয়েরা সেথের-এঁর সভাপতিত্বে উৎসব-এর উদ্বোধন প্রথম পর্বে উদ্বোধক ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম রকিব হায়দার। এতে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ছিলেন লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাহবুবুর রহমান, লালমনিরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান। উৎসব-এর দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জলতরঙ্গ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। এ সময় মায়ের তরীর নির্বাহী পরিচালক সুজন কুমার বেদসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে সকাল ১১টা ১০মিনিটে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত-এর মাধ্যমে উদ্বোধন। সকাল ১১টা ২০মিনিটে “মা” উয়েরা সেথের-এর ৮০তম জন্মদিন পালন। সকাল ১১টা ৪০মিনিটে অতিথিদের বরণ ও আসন গ্রহণ। সকাল ১১টা ৫০মিনিটে আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠান। দুপুর ১টায় প্রথম পর্বের সমাপনী। দুপুর ২টা ৩০মিনিটে গুরুগৃহের শিক্ষার্থীদের লোকসংগীত পরিবেশনা। সন্ধ্যা ৭টায় যন্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিবেশনা। রাত ৭টা ৩০মিনিটে লোকসংগীত বিষয়ক আলোচনা। রাত ৮টায় তরী’র ক্লাসের শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের লোকসংগীত পরিবেশনা। রাত ১০টা ৩০মিনিটে উৎসবের সমাপনী পর্ব।
উল্লেখ্য যে, লোকসংগীত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর হৃদয়ের সংস্কৃতি। লোকসংগীতের মাধ্যমে সাধারণত মানুষ তাদের আনন্দ-বেদনা, প্রেম-বিরহ ইত্যাদি অনুভূতি প্রকাশ করে এবং জীবন সংগ্রামে উজ্জীবিত হয়। আবার লোকসংগীতের মাধ্যমেই জীব আত্মা সেই পরম আত্মার সন্ধান করে। তাই বাংলার লোকসংগীতের সুরে- মন ও প্রাণকে ভরিয়ে তুলতে “লোকসংগীত উৎসব-২০২৫” সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।