শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
সাপটানা চাইনিজ ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নেই অধিকাংশ বিপণি বিতানে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারী শ্রমিকের সংখ্যা পাটগ্রাম থানায় হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি-এনসিপির থানা আক্রমণ করে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪জন গ্রেফতার লালমনিরহাটে ফল উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপির কর্মীকে কারাদণ্ড, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে হামলা ভাংচুর : ৮ পুলিশসহ আহত অন্তত ২০ প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় রিকশাচালক গ্রেফতার চাকরিচ্যুত হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি
মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা লালমনিরহাটের মাকসুদার

মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা লালমনিরহাটের মাকসুদার

লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মাকসুদা আল বারী মিম দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু সুযোগ পেলেও লালমনিরহাটের মেধাবী এই শিক্ষার্থীর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে দারিদ্র্যতা। তবে অর্থাভাবে ভর্তি ও পড়াশোনার সার্বিক খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে তাঁর পরিবারটির।

 

বাবা কখনও রাজমিস্ত্রী কখনওবা কৃষিকাজ করে সংসার চালান। মেয়ের মেডিকেল কলেজে ভর্তির খরচ বহন ও পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব দরিদ্র এই পরিবারটির পক্ষে।

 

অর্থাভাবে মাকসুদা আল বারী মিমের ভর্তি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এ দুশ্চিন্তার কারণ।

 

মাকসুদা আল বারী মিম লালমনিরহাট জেলা সদরের মোগলহাট ইউনিয়নের ২নং ফুলগাছ গ্রামের মিজানুর রহমান ও আরিফা আক্তার দম্পতির বড় মেয়ে। ৩বোনের মধ্যে মাকসুদা আল বারী মিম প্রথম।

 

মাকসুদা আল বারী মিম ২০২২ সালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে বেগম কামরুন নেছা ডিগ্রী কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ২০২৪ সালে উক্ত কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন মাকসুদা আল বারী মিম।

 

মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩হাজার ৩শত ১১তম স্থান অর্জন করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

 

পড়ালেখার প্রতি মেয়ের প্রচণ্ড আগ্রহের কথা জানিয়ে বাবা মিজানুর রহমান বলেন, তিনি মেয়েদের পড়াশোনার খরচ দিতে পারেন না। ৩বোনের মধ্যে মাকসুদা ও আরেক মেয়ে টিউশনি করে সবার পড়ার খরচ জোগাড় করেন। এখন মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন মাকসুদা। তাঁকে কীভাবে সেখানে ভর্তি করাবেন ও পড়ার খরচ দেবেন, এসব চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারছেন না।

 

মাকসুদা আল বারী মিমকে নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী গর্ববোধ করলেও তাদের মাঝে বিরাজ করে অনিশ্চয়তার ছায়া। মাকসুদা আল বারী মিম শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে কিনা এমন চিন্তায় পড়ে পুরো পরিবার।

 

এ অবস্থায় মেধাবী শিক্ষার্থী মাকসুদা আল বারী মিমের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone