শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
চরের স্কুলে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারে চলছে ওয়াশ ব্লক নির্মাণ! লালমনিরহাটের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে গণহত্যা ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন লালমনিরহাটের এম মিজানুর রহমান লালমনিরহাটে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমান্তে নেশার চালান মজুদ লালমনিরহাটের বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিল্পপতি এবং শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব শেখ আব্দুল হামিদ বাবু প্রেসক্লাব লালমনিরহাট এর সাবেক সভাপতি মরহুম মোফাখখারুল ইসলাম মজনু’র স্মরণ সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বাঁশের সাঁকোই ভরসা ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের! লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্ত পথে ৫ বাংলাদেশীকে ফেরত দিল বিএসএফ

কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে ঢেঁড়স চাষে

লালমনিরহাটে এবার ঢেঁড়সের বাম্পার ফলন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ও দেশীয় জাতের এসব ঢেঁড়স স্থানীয় হাট-বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি দেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা বিক্রি করছেন। মৌসুমের শুরুতে ঢেঁড়সের ভালো দাম পেয়ে চাষিরা বেশ খুশি।

 

ঢেঁড়স চাষ লাভজনক হওয়ায় বিগত এক দশক ধরে লালমনিরহাটে ঢেঁড়সের আবাদ ক্রমশ বাড়ছে। পতিত জমিতেও আবাদ হচ্ছে ঢেঁড়স। ঢেঁড়স চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

 

পাইকারি বাজারে প্রতিমণ (৪০ কেজি) ঢেঁড়স এখন বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ৪শত টাকায়। এই হিসেবে ৪০ হতে ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

জানা যায়, লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ব্যাপক ঢেঁড়সের আবাদ হয়েছে। দেশি ছাড়াও উচ্চ ফলনশীল জাতের ঢেঁড়স উৎপাদন হচ্ছে। লালমনিরহাটের মাটি ঢেঁড়স চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এই এলাকায় ঢেঁড়সের আবাদ বেড়েই চলেছে।

 

লালমনিরহাটের চাষিরা এখন ঢেঁড়স আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ঢেঁড়সের মৌসুম। এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ মণ ঢেঁড়স হয়। মৌসুমের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত চাষিরা এক বিঘা জমি হতে ৫০ থেকে ৭২হাজার টাকা উপার্জন করেন। আর এক বিঘা জমিতে ঢেঁড়স চাষে খরচ পড়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা।

 

চাষিরা জানান, অন্যান্য সবজির তুলনায় ঢেঁড়সে কীট-পতঙ্গের আক্রমণ কিছুটা কম। শ্রমিক ও সারের খরচও অপেক্ষাকৃত কম। বাড়ির নারীরাও এসে সহজে ঢেঁড়স তুলতে পারেন। এতে শ্রমমূল্য সাশ্রয় হয়। স্থানীয় মোকামে আনার পর ব্যাপারীরা নগদ টাকায় ঢেঁড়স ক্রয় করেন। ফলে চাষিদের ঢেঁড়স বিক্রি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। লালমনিরহাট জেলার গোশালা বাজারে রয়েছে ঢেঁড়সের সবচেয়ে বড় মোকাম।

 

চাষিরা জানান, গত বছরও ঢেঁড়সের দাম ভালো ছিল। এবারও তাঁরা ভালো দামে ঢেঁড়স বিক্রি করছেন। গোশালা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মার্চ থেকে ঢেঁড়সের আমদানি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান ও বস্তা বোঝাই করে চাষিরা বিক্রির জন্য গোশালা বাজারে ঢেঁড়স নিয়ে আসছেন।

 

লালমনিরহাটের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, সম্ভাবনাময় ও লাভজনক হওয়ায় এখানে ঢেঁড়সের আবাদ বাড়ছে। আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ঢেঁড়সের ফলন হয়ে থাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone