শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আইসিটি কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ১৬ দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বউজামাই মেলা উপলক্ষ্যে বিরাট মৎস্য ও পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত হবে মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে লালমনিরহাটে গৃহীত কর্মসূচি লালমনিরহাটে স্কুল অফ দা হলি কুরআন-এর শুভ উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ৫ম উপজেলা কাব ক্যাম্পুরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে অবৈধভাবে ফসলি জমির টপ সয়েল বিক্রয়ের অভিযোগে ইটভাটা মালিকসহ ৩জনের জরিমানা! লালমনিরহাটে আগাম জাতের ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে লেপ-তোশক-জাজিম কারীগরদের ব্যস্ততা
তিস্তা নদীর ভাঙ্গণ অব্যাহত : ভাঙ্গণ রোধে নেই তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি

তিস্তা নদীর ভাঙ্গণ অব্যাহত : ভাঙ্গণ রোধে নেই তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ভাঙ্গণ অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গণ প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেই তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি। বাড়ছে ভাঙ্গণের ঝুঁকি সাধারণ মানুষের।

 

জানা গেছে, গত বছরের বন্যায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তালেব মোড় বাজার হইতে দক্ষিণে আদর্শ গ্রামের রাস্তাটি ভেঙ্গে বড়খাতা ভায়া হাতীবান্ধা বাইপাস পাকা সড়কটি ভেঙ্গে গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে দ্বীপে পরিণত হয়েছিল গড্ডিমারী। প্রায় শতাধিক বাড়ি-ঘরও ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছিল সেই সময়! এরই ধারাবাহিকতায় এবারও গত বছরের উক্ত ভাঙ্গা স্থানের ২০ফিট দক্ষিণে আদর্শ গ্রামের রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশ ভেঙ্গে গেছে। যেকোনো সময় রাস্তার বাকি অংশটুকু ধসে পরে সানিয়াজান, তিস্তার পানি প্রবাহের প্রধান মুখ হবে এই ভেঙে যাওয়া অংশটি। পানি প্রবাহিত হয়ে প্রসারিত হবে ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা। যার ফলে পুনঃরায় গত বছরের বন্যার ন্যায় বড়খাতা বিডিআর বাজার হয়ে গড্ডিমারী ভায়া হাতীবান্ধা যাওয়ার পাইপাস পাকা সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের সতী হয়ে হাতীবান্ধা চিলাখাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হবে। এ কারণে তিন ইউনিয়নের ফসলী জমি প্লাবিত হবে। তিনটি ইউনিয়নে কোন আবাদ হবে না মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড ৬কোটি টাকা ব্যয়ে যে খাল খনন করছেন তা ২মিনিটে দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙ্গে বিলীন হয়ে নিমিষেই খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ৫কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ২টি ব্রীজও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সর্বোপরি পূর্বের ন্যায় ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে হাতীবান্ধা উপজেলাবাসীকে। তবে যদি এখনি উক্ত ভাঙ্গা স্থানটি ভাঙ্গণের কবল থেকে প্রতিরোধ করা যায় তাহলে বহু ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে হাতীবান্ধা উপজেলা।

 

গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ আতিয়ার রহমান উক্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি তাৎক্ষণিক ২০০ ঘানি বস্তা দিয়েছেন বালু ভরাট করে ভাঙ্গণ রোধ করার জন্য। কিন্তু  তা প্রয়োজনে তুলনায় অপ্রতুল, সেখানে কমপক্ষে ১হাজার ৫শত জিও ব্যাগের প্রয়োজন, যা কেবল পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাদ্দ দিতে পারেন। এখন যথ সামান্য অর্থ খরচের (১লক্ষ ৫০হাজার থেকে ২লাখ টাকা) দ্বারা সরকারের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা এবং উক্ত স্থানটি পরিদর্শনের জন্য জোর আবেদন জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone