শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে নয়নাভিরাম ফুল “কচুরিপানা” তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা
পুলিশ পরিচয়ে শিক্ষককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ!

পুলিশ পরিচয়ে শিক্ষককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ!

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ী গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বাধা দিতে গেলে দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তবে থানা পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশের পরিচয়ে অন্য কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

 

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের শিকার শিক্ষক নুরুল আমিন (৫৪) দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

 

শনিবার (৭ জানুয়ারি) নুরুল আমিনের পরিবারের সদস্যরা বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার ও কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়ায়। প্রধান দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় দেয়াল টপকে একজন বাড়িতে ঢুকে সেটা খুলে দেয়। এরপর ১২-১৫জনের একটি দল তাঁদের উঠানে ঢুকে নুরুল আমিনের নাম ধরে ডাকতে থাকে। তাদের পরনে প্যান্ট-শার্ট ছিল।

 

এ সময় নুরুল আমিনের বাবা আজিজার রহমান ও ছোট ভাই রুহুল আমিন ঘর থেকে বের হন। এরপর বহিরাগত ব্যক্তিরা নুরুল আমিনের ঘরে ঢুকে তাঁকে বের করে আনে। গাড়িতে তোলার সময় পরিবারের সদস্যরা তাঁদের পরিচয় জানতে চান এবং বাধা দেন। এ সময় তারা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। তাদের নানা প্রশ্ন করলে ওই লোকজন নুরুল আমিনের চাচা আবু তালেব (৭০) এবং রুহুল আমিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এরপর তারা নুরুল আমিনকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।

 

তখন বাড়ির লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে আহত আবু তালেব ও রুহুল আমিন সেখানে চিকিৎসাধীন।

 

আজিজার রহমান বলেন, ওরা নিজেদের ডিবি পুলিশের পরিচয় দেয়, কিন্তু পরিচয়পত্র দেখায় নাই। নুরুল আমিনকে ঘর থেকে বাহির করে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।

 

তবে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তারুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। পুলিশ নয়; বরং পুলিশের পরিচয়ে অন্য কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

নুরুল আমিনের স্ত্রী রওশন আরা বেগম বলেন, তিনি তাঁর স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। তাঁকে উদ্ধারে সবার সহায়তা চান।

 

আদিতমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এন এম শরিফুল ইসলাম বলেন, নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে কখনো কোনো রকম অভিযোগ শুনিনি। এ অবস্থায় কেন এ ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে কোনো ধারণা করতে পারছি না৷ তবে ঘটনাটি দুঃখজনক।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone