শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর

অটোভ্যান হারিয়ে নিঃস্ব লালমনিরহাটের মঈনুল

আলোর মনি রিপোর্ট: মুই খুব গরীব মানুষ বাহে! এই ভ্যান চালে কোন রকম ৯সদস্যের পরিবার নিয়ে দিন যাপন করং। এনজিও থাকি টাকা নিয়া অটোভ্যানটা কিনছি। এই ভ্যান চালে সংসার ও কিস্তির টাকা দেওয়া নাগে। এ্যালা মুই কেমন করি কিস্তির টাকা পরিশোধ করিম আর সংসার কেমন করি চালাম সেই চিন্তায় বাচোংছে না৷

 

এভাবেই আকুতি জানিয়ে কথাগুলো বলছিলেন, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সাড়ডুবি গ্রামের মৃত আঃ জলিলের পুত্র মঈনুল ইসলাম নামে এক ভ্যান চালক।

 

নিজের বলতে কিছুই নেই। মাত্র ৪শতাংশ জমিতে বাড়ি করে ৯সদস্যের পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করেন৷ জীবিকা নির্বাহের একমাত্র হাতিয়ার অটোভ্যানটি হারিয়ে নিঃস্ব তিনি।

 

ভ্যানচালক মঈনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (৩০ জুলাই) অটোভ্যান নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা কেরামতিয়া বড় মসজিদে (ভাঙ্গা মসজিদ) নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। সেখানে গিয়ে ভ্যানটি মসজিদের সামনে রেখে নামাজ আদায় শেষে বের হয়ে দেখেন তার ভ্যানটি নেই।

 

তিনি আরও বলেন, তার নিজের বলতে কিছুই নেই। কিছুদিন আগে ব্র্যাক এনজিও থেকে ৩০হাজার টাকা নিয়ে অটোভ্যানটি কিনেন। অটোভ্যান চালিয়ে যা পেতেন তা দিয়ে কিস্তি দিতেন ও সংসার চালাতেন। এখন সেটাও নাই। কি করবেন না করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না বলেই হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। এখন তিনি চেয়ে আছেন সমাজের বৃত্তবানদের দিকে। যদি কেউ দয়া করে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুম আলী বলেন, মঈনুল অত্যন্ত গরীব। ভ্যান চালিয়ে সে তার সংসার চালায়। শুনেছি তার উপার্জনের একমাত্র সম্বল অটোভ্যানটি হারিয়ে গেছে। এ বিষয়ে সমাজের বৃত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

 

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ- ০১৩১১৬৮১৬৮৩ অথবা ০১৩১১৯৪৪৬২৯ অটোভ্যান চালক মঈনুল ইসলাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone