সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র বিশেষ অভিযানে ভারতীয় গরু, জিরা, চিনি ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দিঘলটারী বিওপির বিশেষ টহলদল ২টি সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় গরু, জিরা, চিনি এবং বিভিন্ন প্রকার মালামাল জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু এবং অন্যান্য মালামাল বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৮টায় দিঘলটারী বিওপির আওতাধীন লালমনিরহাট জেলার আদিতামারী থানার কাওয়ারচর নামক স্থানে টহল পরিচালনার সময় ভারতীয় সীমান্ত দিক থেকে গরুসহ কয়েকজন চোরাকারবারী বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় চোরাকারবারীরা গরু ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থল থেকে ২টি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে, রোববার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে একই বিওপি’র আওতাধীন নামাটারী নামক স্থানে টহল পরিচালনাকালীন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে বাই সাইকেল যোগে আসতে দেখে টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তি বাই সাইকেল ফেলে দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ভারতীয় জিরা ১২কেজি, চিনি ৩৮কেজি, ফুসকা ১০কেজি, কম্বল ১টিসহ উক্ত বাই সাইকেলটি জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জব্দকৃত ভারতীয় গরু ২টি, যার সিজার মূল্য ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা, জিরা ১২কেজি, যার সিজার মূল্য ১২হাজার টাকা, চিনি ৩৮কেজি, যার সিজার মূল্য ৪হাজার ১শত ৮০টাকা, ফুসকা ১০কেজি, যার সিজার মূল্য ২হাজার ৫শত টাকা, কম্বল ১টি, যার সিজার মূল্য ৮হাজার টাকা এবং বাই সাইকেল ১টি, যার সিজার মূল্য ৫হাজার টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ২লক্ষ ৮১হাজার ৬শত ৮০টাকা। এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারীদের পরিচয় শনাক্ত ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও স্থানীয় জনগণকে চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
এই সফল অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।