শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মায়ের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ এবং অতীতের নির্মম স্মৃতি মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত অনুমোদনহীন ও মানহীন ক্লিনিক ও প্যাথলজি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের যৌথ অভিযান প্রথম আলোর সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়- দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়- দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ সমাপনী অনুষ্ঠিত সার সংকটে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চাচা আটক হলেও খলনায়ক ভাতিজা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে!
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মায়ের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ এবং অতীতের নির্মম স্মৃতি

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মায়ের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ এবং অতীতের নির্মম স্মৃতি

—ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন—তারেক রহমান দেশে ফিরছেন না কেন? তিনি কি নিজের দেশকে ভালোবাসেন না? সত্যটা অনেক গভীর। এর ভিতরে আছে মায়ের জন্য সন্তানের হৃদয়ভাঙা অপেক্ষা, আছে নিরাপত্তার অজানা শঙ্কা, আর আছে ইতিহাসের নির্মমতা।

তারেক রহমান বহুবার বলেছেন যে, বাংলাদেশই তাঁর হৃদয়। বাংলাদেশই তাঁর বাড়ি, তাঁর শেকড়। তাঁর মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যাঁর জন্য তিনি সবসময় ব্যাকুল। মায়ের অসুস্থতার প্রতিটি মুহূর্ত তাঁর জন্য অসহনীয় কষ্টের। একজন সন্তানের কাছে এর চেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আর কী হতে পারে? প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে তাঁর একটাই ভাবনা – কবে আমি মায়ের পাশে দাঁড়াতে পারব?

কিন্তু বাস্তবতা অন্য কথা বলে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বেগম জিয়ার জরুরি উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। যে কোনো সময় তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে স্থানান্তর করতে হতে পারে। সেই প্রস্তুতি নিয়েই তারেক রহমান এবং তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডনে প্রতিটি দিন কাটাচ্ছেন – বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্বসেরা চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে, চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করে, শুধু নির্দেশের অপেক্ষায়। লন্ডন তাদের জন্য এখন বিশ্রামের নিবাস নয়; লন্ডন এখন মায়ের জীবন বাঁচানোর অপেক্ষার ঘর।

এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশে তারেক রহমানের ওপর এখনো গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। অতীতের স্মৃতি তাঁর পরিবার এবং দলের কাছে এখনো তাজা। ফখরুদ্দিন-মইন মদদপুষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি রাষ্ট্রযন্ত্রের নামে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। আইনের ন্যূনতম সুরক্ষা পাননি। সমাজের বিবেক – মিডিয়া ও সিভিল সোসাইটি – তখন নীরব ছিল। তখন ওনার উপর যে ভয়াবহ নির্মমতা হয়েছিল, তা ছিল মানবাধিকারের প্রকাশ্য লঙ্ঘন। রাষ্ট্র যখন নিজেই প্রতিশোধে মেতে ওঠে, সুরক্ষা ছাড়া দেশে ফেরা বীরত্ব নয় – এটি ফাঁদ।

আজও সেই অজানা ভয়, সেই রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের সম্ভাবনা একেবারে চলে যায়নি। তাই তাঁর ফিরে আসা শুধু আবেগ নয়, এটি রাজনৈতিক হিসাব, ভবিষ্যতের দায়িত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত।

তবু দূরে থেকেও তারেক রহমান নেতৃত্ব দিচ্ছেন গণতন্ত্রের অধিকারের জন্য, মানুষের ভোটের মর্যাদার জন্য, দেশকে নতুন ভবিষ্যতের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য যার মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে কৃষি, স্বাস্থ্য, সহ নারী ও তরুণ-যুবাদের জীবন ও জীবিকার উন্নতি। দূরত্ব তাঁর নেতৃত্বকে কমিয়ে দেয়নি; বরং আরও প্রখর করেছে।

যারা প্রশ্ন করেন “এখনই কেন ফিরছেন না?” – তাদের মনে রাখতে হবে: একজন দায়িত্ববান নেতা শুধু আবেগ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেন না; সঠিক সময়ের অপেক্ষা করেন।

আজ তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব—মাকে বাঁচানো। আর দেশের জন্য তাঁর সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি, একদিন ফিরে এসে জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করা।

তারেক রহমানের দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ফেরা হবে। কিন্তু, তা হবে শক্তভাবে, নিরাপদে এবং দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে। সেই প্রত্যাবর্তন হবে বাংলাদেশের নতুন সূচনার দিন।

লেখকঃ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone