সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র সাড়াশি অভিযানে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ও গাঁজা জব্দসহ ১জন আসামী আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটিই জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ২টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ও গাঁজা জব্দ এবং ১জন আসামী আটক করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ৮টায় বালারহাট বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার গজেরকুটি নামক স্থানে বিজিবির টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহল দল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার গজেরকুটি গ্রামের রহিম উদ্দিনের পুত্র আহম্মদ আলী (৩৪) কে ১০টি বোতল ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপসহ আটক করতে সক্ষম হয়।
অপরদিকে, শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল আনুমানিক ৬টায় ঝাউরানী বিওপি’র আওতাধীন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার খামারভাতী নামক স্থানে টহল পরিচালনাকালীন চোরাকারবারীদের গতিবিধি টের পেয়ে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ভারতীয় গাঁজা ৫কেজি এবং ভারতীয় ইস্কাপ সিরাপ ১শত ১৭টি বোতল উদ্ধার করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ১শত ২৭টি বোতল, যার সর্বমোট সিজার মূল্য ৫০হাজার ৮শত টাকা এবং ভারতীয় গাঁজা ৫কেজি, যার সিজার মূল্য ১৭হাজার ৫শত টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ৬৮হাজার ৩শত টাকা। এ ঘটনায় ১০টি বোতল ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপসহ আটকৃত আসামী আহম্মদ আলী (৩৪) এর বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়েরপূর্বক মাদকদ্রব্যসহ আসামীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া মাদক সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
এই অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার, যা মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।