শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।

অসৎ পন্থা অবলম্বন নিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলাধীন বাউরা আলিম মাদ্রাসায় অসৎ পন্থা অবলম্বন করে কমিটি গঠন, নিয়োগ বানিজ্যের পাঁয়তারার অভিযোগ অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হক-এর বিরুদ্ধে।

 

নিয়ম বহির্ভূত ভাবে এডহক কমিটি কে না জানিয়ে, কোন প্রকার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ছাড়াই পুনঃ কমিটি গঠন করা হয়েছে মর্মে, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন ওই মাদ্রাসার এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্য ভুক্তভোগী হাবিবুর হক।

 

উক্ত অভিযোগ পত্রে তিনি বলেন, আমি বাউরা আলিম মাদ্রাসার গত ২৬ জুন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত এডহক কমিটির একজন অভিভাবক সদস্য হই। অতঃপর গত ৬ অক্টোবর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক একটি পুনঃনিয়মিত কমিটি অনুমোদন করা হয়। আমি এডহক কমিটির একজন অভিভাবক সদস্য হওয়া সত্ত্বেও উক্ত নিয়মিত কমিটি গঠনের বিষয়ে কিছুই জানিনা। কমিটি গঠনকালে মাদ্রাসার সুপার এ কে এম ফজলুল হক সম্পূর্ণ গোপনীয়ভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করে, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে একটি অবৈধ নিয়মিত কমিটি গঠন করেন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নিকট অনুমোদন নেন।

 

এই প্রক্রিয়ায় মাদ্রাসার সকল অভিভাবকবৃন্দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কমিটিতে ৮নং শিক্ষক প্রতিনিধি কোন সাধারণ শিক্ষক নন, বরং তিনি উক্ত মাদ্রাসার সহকারী সুপার। অথচ মাদ্রাসা কমিটি গঠন বিধিমালা অনুযায়ী একজন সহকারী সুপার শিক্ষক প্রতিনিধি হতে পারেন না।

 

এছাড়াও কমিটি গঠন বিধিমালা অনুযায়ী সভাপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রেও কোনো বিধি বিধান মানা হয়নি।অথচ সম্পূর্ণ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করার ক্ষেত্রে অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাল-জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানায়, অধ্যক্ষ-এর আগেও কয়েকবার কমিটি গঠনে অনিয়ম করেছেন এবং নিয়োগ বানিজ্যের পাঁয়তারা করেছেন, এবারো উনার মন মতো ব্যক্তিকে সভাপতি নির্বাচিত করে মাদ্রাসাটি অনিয়ম দূর্নীতির আখড়া সৃষ্টি করা চেষ্টা করচ্ছেন। আমরা এই পকেট কমিটি মানি না।

 

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হকের বক্তব্য জানা যায়নি।

 

সহকারি অধ্যক্ষ আবুল কালাম জানান, উনি কিভাবে কমিটি করেছে আমি জানি না।

 

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি তদন্ত করা জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone