লালমনিরহাটে ওয়ারিয়র্স ওফ জুলাই লালমনিরহাট এর পক্ষ হতে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ওয়ারিয়র্স ওফ জুলাই লালমনিরহাটের আয়োজনে এ জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জরুরি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওয়ারিয়র্স ওফ জুলাই লালমনিরহাটের আহবায়ক আশিকুর রহমান আশিক। এ সময় ওয়ারিয়র্স ওফ জুলাই লালমনিরহাটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ লালমনিরহাটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ওয়ারিয়র্স ওফ জুলাই লালমনিরহাটের আহবায়ক আশিকুর রহমান আশিক উল্লেখ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি।
জাতীয় ঐক্যমত কমিশন ঘোষিত “জুলাই জাতীয সনদ ২০২৫”-এর আলোকে দেশের গণতান্ত্রিক চেতনা, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় আমরা দাবি জানাচ্ছি জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে আহতদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, মর্যাদা এবং আইনগত সুরক্ষা অবিলম্বে নিশ্চিত করা হোক। গণঅভ্যুত্থানের সময় অসংখ্য ছাত্র-জনতা দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের সংগ্রামে অংশ নিয়ে গুরুতরভাবে আহত হন এবং অনেকেই চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেন। তারা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক অর্জনের জীবন্ত প্রতীক এবং জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেভাবে শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনি আহতদের প্রতিও রাষ্ট্রের নৈতিক, মানবিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে।
আমাদের দাবিসমূহ: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে এবং তাঁদের ত্যাগ ও অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদেরকে “জুলাই আহত বীর” হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। আহতদের জন্য আইনগত সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। উক্ত দাবিসমূহ “জুলাই জাতীয সনদ ২০২৫”-এ অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
ওয়ারিয়র্স ওফ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংগঠন-এর পক্ষ থেকে দাবি: আমরা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা, রাষ্ট্রের কাছে আমাদের রক্ত ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দাবি করছি। আমরা কোনো অনুগ্রহ নয়, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। আমরা চাই রাষ্ট্র আমাদের আইনগত ও সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিক। আমরা বিশ্বাস করি, শহীদদের পাশাপাশি পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতা যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চিরস্থায়ী সাক্ষ্য হয়ে আছেন তাদের সম্মান দেওয়া মানেই মুক্তিকামী জনগণের মর্যাদা রক্ষা করা।