শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচারণায়! অতীত ও চলমান জীবনের প্রতিচ্ছবি- মহান মে দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে গাছে গাছে জাম্বুরা ধরেছে লালমনিরহাট আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত! শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় দুই বিএনপির নেতা কারাগারে! তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ অনুষ্ঠিত মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ ১নং মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠিত
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদে প্রশিক্ষণ প্রত্যাশীদের ভীড় : জানেন না ইউএনও

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদে প্রশিক্ষণ প্রত্যাশীদের ভীড় : জানেন না ইউএনও

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর নিজস্ব অফিসে ‘একতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে সুবিধাভোগীদের তালিকা করা হচ্ছে। ওই সুবিধা ভোগীদের কম্পিউটার ও সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তাদের কম্পিউটার ও সেলাই মেশিন দেয়া হবে এমন কথাও বলা হচ্ছে। সুবিধা ভোগীদের তালিকায় নাম রাখতে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণেরও অভিযোগ করছেন অনেকেই। কিন্তু এ বিষয়ে কিছুই জানেন না হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন।

 

গতকাল রবিবার হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর নিজস্ব অফিসে দেখা যায়, ভবনের বাহিরে অনেকে অপেক্ষা করছেন। ভিতর থেকে একজন করে ডেকে নিয়ে ‘একতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র একটি সদস্য ফরম পূরণ করছেন। অফিসে বসে সবকিছু দেখভাল করছেন ভাইস চেয়ারম্যান।

এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু জানান, একতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামে একটি এনজিও এ উপজেলায় বেকার যুবক ও যুবতীদের প্রশিক্ষণের প্রকল্প পেয়েছেন। তিনি নিজেও ওই এনজিওর সাথে জড়িত রয়েছেন। এ সময় তার কাছে ওই এনজিওর কাজ করার বৈধ অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তা তিনি দেখাতে পারেন নি।

 

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন এ প্রকল্প বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। কিছুক্ষণ পর ইউএনওর অফিস রুমে আসেন ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু। ইউএনও তার কাছে ওই এনজিওর কাজ করার অনুমতি পত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেনি। ইউএনও সামিউল আমিন তাৎক্ষনিক ওই এনজিওর সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে নিদের্শ দিলেও তা বন্ধ হয়নি।

 

আজ সোমবার দুপুরেও দেখা যায় উপজেলা পরিষদের ভিতরে ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর নিজস্ব অফিসে প্রশিক্ষণ প্রত্যাশীদের ভীড়।

 

অভিযোগ উঠেছে, ‘একতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ এনজিওর এ কার্যক্রমের বৈধ অনুমতিপত্র না থাকলেও হাতীবান্ধায় প্রকল্প জরিপের নামে সুবিধাভোগীদের তালিকার তৈরির অযুহাতে বেকার তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছেন।

 

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর দাবী, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘একতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ নামে একটি এনজিও প্রশিক্ষণের একটি প্রকল্প পেয়েছে।

 

একতা সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি বাদশা মিয়া বলেন, আমরা আশাবাদী একটি প্রশিক্ষণের প্রকল্প পাবো। তাই জরিপ করছি। জরিপ কার্যক্রম করতে জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগে না। তাছাড়া সংস্থার নামে কেউ টাকা নিচ্ছে তা আমার জানা নেই।

 

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, ওই এনজিওর প্রতিনিধিদের সাথে আমি কথা বলেছি। তাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। ফলে মানুষ প্রতারিত হতে পারে। তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশও দিয়েছি।

 

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, শুনেছি ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু ওই এনজিওর সাথে জড়িত। ওই এনজিওর কার্যক্রমের সাথে উপজেলা প্রশাসন বা পরিষদ জড়িত নয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone