শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
‎লালমনিরহাট জেলার ৩টি সংসদীয় আসনের ১২টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ ‎মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ প্রবেশ বিজিবি’র হাতে বিএসএফ সদস্য আটক ১৫ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদ ও নেভিয়া সফট ক্রিম জব্দ ‎রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে পতাকা অর্ধনমিত না রাখায় ক্ষোভ সূচনা আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন-এঁর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত ১৫ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ইস্কাপ সিরাপ, গাঁজা এবং গরু আটক ভ্যানচালক শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত ১৫ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা, চিনি এবং গাঁজা জব্দ ‎লালমনিরহাট জেলার ৩টি সংসদীয় আসনের ৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ
দুর্দিনে লালমনিরহাটের মৃৎ শিল্প

দুর্দিনে লালমনিরহাটের মৃৎ শিল্প

পৃষ্ঠপোষকতা ও বাজারজাত সুবিধার অভাবে লালমনিরহাটের মৃৎ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময় এই লালমনিরহাট জেলায় অনেক পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু কালের আবর্তে পূর্বপুরুষের এই পেশা আঁকড়ে আছে মাত্র কিছু সংখ্যক পরিবার। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার নিরন্তর সংগ্রাম করছে তারা।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলা মৃৎ শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। মৃৎ শিল্পীদের ঘরে ঘরে তৈরি হতো মাটির তৈজসপত্র। এসবের মধ্যে ছিল হাঁড়ি-পাতিল, ঢাকনা, থালাবাসন, কলসি, পেয়ালা, পানি রাখার ঘড়া, ঘটি-বাটি, ফুলের টব, দইয়ের মালসা ইত্যাদি। এক সময় নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে অভিজাত পরিবারে রান্না-বান্নাসহ সংসারের প্রায় সব কাজেই ব্যবহৃত হতো মাটির এসব তৈজতপত্র।

 

আরও জানা যায়, এক সময় মাটির তৈরি এসব তৈজসপত্র লালমনিরহাট জেলার গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সহজলভ্য ও কম দামের কারণে অ্যালুমিনিয়াম, মেলামাইন, সিরামিক, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ধাতব সামগ্রীর দাপটে মাটির তৈরি এসব সামগ্রীর চাহিদা এখন আর নেই বললেই চলে। এমনকি গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন উৎসব বা মেলায় মাটির পুতুল ও ফুলের টব ছাড়া অন্য কোনো মৃৎ শিল্পেরও তেমন চাহিদা নেই। তাই অন্যান্য ক্ষুদ্র শিল্পের মতো হারিয়ে যেতে বসেছে এই শিল্প।

 

মৃৎ শিল্পীরা জানান, বাজারজাত সুবিধার অভাব ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে তাঁরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। অর্থকষ্টে জীবন কাটছে তাঁদের। এতে পূর্বপুরুষের পেশাটি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে অনেকেই কৃষিসহ অন্য পেশায় চলে গেছেন।

 

লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার মোগলহাট, আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর, ভেলাবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনাসহ বিভিন্ন গ্রামে পাল সম্প্রদায়ের পরিবার মৃৎ শিল্প পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। বৃটিশ আমল থেকে অদ্যবদি এই এরা মাটির তৈরি পাতিল, থালা, বাসন, ফুলের টব, কলস, ঝাঁজর, তবাক, গাবলা, ঢোসকা, কুপিবাতি, দইয়ের ভাঁর বা খুঁটিসহ নানা মৃৎ সামগ্রী তৈরি করে সুদক্ষ কারিগররা।

 

এখানকার তৈরী মৃৎ সামগ্রী নিখুঁত ও মনকারা হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

 

উল্লেখ্য যে, আগে মাটির তৈরী মৃৎ শিল্পের প্রচুর চাহিদা থাকলেও বর্তমানে সিলভার ও প্লাস্টিক সামগ্রী বাজারে আসায় অনেকটা চাহিদা কমে গেছে। তবে মাটির তৈরী পাতিল বা বাসনে রান্না ও খাওয়া-দাওয়া করায় পূর্ব পুরুষদের শরীরে রোগবালাই কম দেখা গেছে। এখন সিলভার ও প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারে নানা রোগের সৃষ্টি হয়। তথাপি পাল বংশের ঐতিহ্য ধরে রাখতে মৃৎ শিল্পের হাল ছাড়তে পারেননি অনেক পরিবার। এই শিল্পকে সরকারি, বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে আরও এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone