শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে চাষিরা মাচায় পানি কুমড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছেন লালমনিরহাটে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে- আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই-লালমনিরহাটের গণশুনানিতে দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন লালমনিরহাটে শিক্ষার্থীদের দাবী উপেক্ষা করে জোরপূর্বক স্কুল মাঠে বসানো হচ্ছে হাট-বাজার! লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দুদকের গণশুনানি সোমবার আনারস চাষে ঝুঁকছেন লালমনিরহাটের চাষিরা! লালমনিরহাটের ধরলায় ডুবে শিশুর মৃত্যু সংস্কার ও খুনিদের বিচার ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ কোনো নির্বাচন মেনে নিবে না-লালমনিরহাটের বিশাল জনসভায় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান

ছেলে বৃদ্ধা মাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ছেলের লাঠির আঘাতে গুরত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক অসহায় বৃদ্ধা মা। ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলে ও ছেলের বউয়ের হাতে লাঞ্চিত হন অসহায় পিতা রফিকুল ইসলাম।

 

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এরশাদুল আলম।

এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ছেলে রশিদুল ইসলাম, ছেলের বউ বেবি বেগমসহ ৩জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টিএনটি পাড়া এলাকায় বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সাথে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে একই পরিবারে বসবাস করেন রশিদুল ইসলাম। এমতাবস্থায় গতকাল সকাল ৯টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়াঝাটি হয়। এর এক পর্যায়ে রশিদুল ও তার স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে বৃদ্ধা মাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে। এতে বৃদ্ধা রশিদা বেগম গুরত্বর আহত হয়। এ ঘটনা দেখে বাবা রফিকুল ইসলাম ঝগড়া থামাতে গিয়ে তার ছেলে ও ছেলের বউয়ের হাতে লাঞ্চিত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতা রফিকুল ইসলাম তার বৃদ্ধা স্ত্রী রশিদা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে দেন। যার রেজি নং- ১৯৩৬। এ ঘটনা ঐ দিন রাতে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার ছেলে, ছেলের বউসহ ৩জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

 

এ বিষয়ে কথা হলে রফিকুল ইসলাম বলেন, রশিদুল ইসলাম তার বউসহ প্রায়ই তাদেরকে মারধোর করেন। রশিদুলের এক ছেলে সেনাবাহিনী ও এক মেয়ে পুলিশে চাকরি করে আর সেই ক্ষমতা ও টাকার জোরে তারা কাউকেই মানেনা। ছেলে ও ছেলের বউয়ের উপযুক্ত বিচার চান অসহায় পিতা রফিকুল ইসলাম।

 

রশিদুলের স্ত্রী বেবি বেগম শ্বশুর শ্বাশুড়িকে মারধোরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার শ্বশুরই তাকে মারধোর করেছে।

 

হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone