শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে ৬২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (ভারপ্রাপ্ত বা চলতি দ্বায়িত্ব)র প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা! ৬ ডিসেম্বর লালমনিরহাট মুক্ত দিবস বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ছিলেন লালমনিরহাটের সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র জুজুর ভয় লালমনিরহাটে ইরি-বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক! লালমনিরহাটে শীতকালীন শাক সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা লালমনিরহাটে ট্রাফিক সচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে তিন সাংবাদিককে হেনস্তা ও অশালীন আচরণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি!
বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

আলোর মনি রিপোর্ট: মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) প্রবীণ রাজনীতিবিদ, ভাষা সংগ্রামী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি লালমনিরহাট জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

 

এ উপলক্ষে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট পৌরসভার খোর্দ্দ সাপটানা (বিডিআর হাট)স্থ নিজ বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ সময় তাঁর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, নাতী, নাতনী, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

কমরেড শামসুল হক লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের খাতাপাড়া গ্রামে ১৯৩৪ সালের ৭ মে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম মহিউদ্দিন সরকার ও মাতার নাম মরহুমা সহিজন নেছা। তিন সন্তানের মধ্যে কমরেড শামসুল হক দ্বিতীয়। তিনি খাতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে লেখাপড়া করেন। অতঃপর ইনেস্পেক্টর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ লালমনিরহাট জেলা শাখার আজীবন সদস্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি লালমনিরহাট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি, সুইড বাংলাদেশ লালমনিরহাট শাখার সভাপতি, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, বার্ণহার্ডট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সভাপতি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র অনুপ্রেরনায় গঠিত স্বজন সদস্য, লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যসহ লালমনিরহাটের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে আমৃত্য জড়িত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তাঁর সরব উপস্থিতি সবাইকে প্রাণবন্ত করতো। তাঁর কর্মময় জীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ ভাষা আন্দোলন, রাজনীতি ও সমাজকর্মে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ লালমনিরহাট জেলা শাখা প্রৌঢ় সম্মাননা স্মারক-২০১১, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট লালমনিরহাট ভাষা সৈনিক সম্মাননা-২০১৫সহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।

 

উল্লেখ্য যে, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনিতে পড়ার সময় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। লালমনিরহাটে গঠিত ভাষা সংগ্রাম পরিষদের তিনি অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। ১৯৮১ সালে মহুকুমা ও ১৯৮৪ সালে জেলা গঠনে তাঁর ভূমিকা ছিল অন্যতম। অধুনালুপ্ত স্টেশন ক্লাবের তিনি ক্যাশিয়ার ছিলেন। এছাড়াও লালমনিরহাট সরকারি কলেজ, কবি শেখ ফজলল করিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গঠনে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone