শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিনব্যাপী বউ-শাশুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে কাব হলিডেতে “শেখ হাসিনার” সাক্ষরযুক্ত সনদ বিতরণ লালমনিরহাট জেলা সমিতি ঢাকা’র উন্নয়ন ও করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে শোভাবর্ধন করেছে জবা ফুলগাছ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী গ্রেফতার লালমনিরহাটের সাংবাদিকের পিতা মরহুম আফজাল হোসেনের কবর জিয়ারত অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রোপা-আমন ধান ও সবজি ক্ষেত লালমনিরহাটে কোদালখাতা প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নানামূখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন, সুষ্ঠ তদন্তের দাবি
বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

আলোর মনি রিপোর্ট: মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) প্রবীণ রাজনীতিবিদ, ভাষা সংগ্রামী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি লালমনিরহাট জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

 

এ উপলক্ষে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট পৌরসভার খোর্দ্দ সাপটানা (বিডিআর হাট)স্থ নিজ বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ সময় তাঁর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, নাতী, নাতনী, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

কমরেড শামসুল হক লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের খাতাপাড়া গ্রামে ১৯৩৪ সালের ৭ মে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম মহিউদ্দিন সরকার ও মাতার নাম মরহুমা সহিজন নেছা। তিন সন্তানের মধ্যে কমরেড শামসুল হক দ্বিতীয়। তিনি খাতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে লেখাপড়া করেন। অতঃপর ইনেস্পেক্টর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ লালমনিরহাট জেলা শাখার আজীবন সদস্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি লালমনিরহাট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি, সুইড বাংলাদেশ লালমনিরহাট শাখার সভাপতি, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, বার্ণহার্ডট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সভাপতি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র অনুপ্রেরনায় গঠিত স্বজন সদস্য, লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যসহ লালমনিরহাটের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে আমৃত্য জড়িত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তাঁর সরব উপস্থিতি সবাইকে প্রাণবন্ত করতো। তাঁর কর্মময় জীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ ভাষা আন্দোলন, রাজনীতি ও সমাজকর্মে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ লালমনিরহাট জেলা শাখা প্রৌঢ় সম্মাননা স্মারক-২০১১, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট লালমনিরহাট ভাষা সৈনিক সম্মাননা-২০১৫সহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।

 

উল্লেখ্য যে, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনিতে পড়ার সময় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। লালমনিরহাটে গঠিত ভাষা সংগ্রাম পরিষদের তিনি অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। ১৯৮১ সালে মহুকুমা ও ১৯৮৪ সালে জেলা গঠনে তাঁর ভূমিকা ছিল অন্যতম। অধুনালুপ্ত স্টেশন ক্লাবের তিনি ক্যাশিয়ার ছিলেন। এছাড়াও লালমনিরহাট সরকারি কলেজ, কবি শেখ ফজলল করিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গঠনে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone