শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল সেই আলোচিত শ্রমিক লীগ নেতা হত্যা মামলায় দুই বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাটে ডান চোখ তুলে নিয়েছে, এখন বাম চোখও উপড়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের এমপি নূরুজ্জামান আহমেদের ছেলে ও ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী! লালমনিরহাটে ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত, ট্রেনে কাটা পড়ে রেল কর্মচারী নিহত! কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে উপজেলা চেয়ারম্যান ৭, ভাইস চেয়ারম্যান ১০, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৬জন বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী; ১জন চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র বাতিল! প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ শুভ উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত মানবিক সহায়তা (ঢেউটিন ও টাকা) বিতরণ অনুষ্ঠিত এমদাদুল সিন্ডিকেটের এক সদস্য গ্রেফতার!
লালমনিরহাটের ধরলা নদীর বুকে জেগে উঠা চরে জনপ্রিয় হচ্ছে কলা চাষ

লালমনিরহাটের ধরলা নদীর বুকে জেগে উঠা চরে জনপ্রিয় হচ্ছে কলা চাষ

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশ লাভবান হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে কলা চাষির সংখ্যাও। লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ধরলা নদীর চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতে করা হয়েছে অসংখ্য কলার বাগান।

 

আর কলা চাষে সফলতার মুখ দেখেছেন চাষিরা। ফলে অন্যের জমি বর্গা নিয়েও অনেকে কলা বাগান করছেন।

 

আবার অনেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশের পতিত জমিতেও বাগান করছেন কলার।

যেখানে অন্যান্য ফসল করে লাভবান হতে পারছে না স্থানীয় চাষিরা, সেখানে কলা চাষে সফল হচ্ছেন।

 

ফলে দিন দিন বাড়ছে কলার বাগানের সংখ্যা। এতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষি।

 

একরের পর একর কলার বাগান করে বছর শেষে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারায় স্থানীয় অনেক যুবকেরা পেশাও বদলাচ্ছেন। অন্য পেশা ছেড়ে আসছেন কলা চাষে।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তৃত জমিতে কলার বাগান। পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগানের মালিক-কর্মচারীরা।

ধরলা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাটের মোগলহাট ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের পতিত জমির বেশির ভাগেই বালু মাটির আস্তরণ। অন্যান্য ফসল যেখানে তেমন ভালো হচ্ছে না, সেখানে কলা বাগান করে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনেছেন অনেকেই।

 

এ ইউনিয়নের কয়েকজন কলা চাষি জানান, অন্যান্য ফসল উৎপাদনের চেয়ে কলা চাষে খরচ কম, লাভও বেশি। এ এলাকার যেসব জমিতে আগে ধান চাষ হতো, এখন সেখানে করা হচ্ছে কলা বাগান।

 

তারা জানান, আগের মৌসুমে কলা বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ হয়েছিল। সব মিলিয়ে অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভের অংক একটু বেশি হওয়ায় কলা চাষ জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।

 

জানা গেছে, ধরলা বেষ্টিত মোগলহাট ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ব্যক্তিগত জমি ছাড়াও অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে স্থানীয় অসংখ্য যুবক কলা চাষ করছেন। বিঘা প্রতি বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা চুক্তিতে জমি ভাড়া নিয়ে থাকেন তারা। বিঘা প্রতি কলা চাষে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৪শত কলা গাছ লাগানো হয়। মৌসুম শেষে প্রতি বিঘা বাগান থেকে কমপক্ষে দেড় থেকে ২লাখ টাকার কলা বিক্রি করা যায়। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগে বাগানের ক্ষতি হলে লাভের পরিমাণ কিছুটা হেরফের হয়।

 

আরও জানা গেছে, ধরলা নদীর বুকে জেগে উঠা চর ফলিমারী, গোড়কমন্ডল, কুরুল, খাটামারী, মাঝের চর, খারুয়ার চর, চর কুলাঘাট, শিবেরকুটি, মন্ডলের চর ও উজানের চরের জমিতেও জনপ্রিয় হচ্ছে এ কলা চাষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone