শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
দুর্দিনে লালমনিরহাট জেলার মৃৎ শিল্প

দুর্দিনে লালমনিরহাট জেলার মৃৎ শিল্প

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: পৃষ্ঠপোষকতা ও বাজারজাত সুবিধার অভাবে লালমনিরহাটের মৃৎ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময় এই লালমনিরহাট জেলায় অনেক পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু কালের আবর্তে পূর্বপুরুষের এই পেশা আঁকড়ে আছে মাত্র কিছু সংখ্যক পরিবার। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার নিরন্তর সংগ্রাম করছে তারা।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলা মৃৎ শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। মৃৎ শিল্পীদের ঘরে ঘরে তৈরি হতো মাটির তৈজসপত্র। এসবের মধ্যে ছিল হাঁড়ি-পাতিল, ঢাকনা, থালাবাসন, কলসি, পেয়ালা, পানি রাখার ঘড়া, ঘটি-বাটি, ফুলের টব, দইয়ের মালসা ইত্যাদি। এক সময় নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে অভিজাত পরিবারে রান্না-বান্নাসহ সংসারের প্রায় সব কাজেই ব্যবহৃত হতো মাটির এসব তৈজতপত্র।

 

আরও জানা যায়, এক সময় মাটির তৈরি এসব তৈজসপত্র লালমনিরহাট জেলার গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সহজলভ্য ও কম দামের কারণে অ্যালুমিনিয়াম, মেলামাইন, সিরামিক, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ধাতব সামগ্রীর দাপটে মাটির তৈরি এসব সামগ্রীর চাহিদা এখন আর নেই বললেই চলে। এমনকি গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন উৎসব বা মেলায় মাটির পুতুল ও ফুলের টব ছাড়া অন্য কোনো মৃৎ শিল্পেরও তেমন চাহিদা নেই। তাই অন্যান্য ক্ষুদ্র শিল্পের মতো হারিয়ে যেতে বসেছে এই শিল্প।

 

মৃৎ শিল্পীরা জানান, বাজারজাত সুবিধার অভাব ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে তাঁরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। অর্থকষ্টে জীবন কাটছে তাঁদের। এতে পূর্বপুরুষের পেশাটি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে অনেকেই কৃষিসহ অন্য পেশায় চলে গেছেন।

 

লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার মোগলহাট, আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর, ভেলাবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনাসহ বিভিন্ন গ্রামে পাল সম্প্রদায়ের পরিবার মৃৎ শিল্প পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। বৃটিশ আমল থেকে অদ্যবদি এই এরা মাটির তৈরি পাতিল, থালা, বাসন, ফুলের টব, কলস, ঝাঁজর, তবাক, গাবলা, ঢোসকা, কুপিবাতি, দইয়ের ভাঁর বা খুঁটিসহ নানা মৃৎ সামগ্রী তৈরি করে সুদক্ষ কারিগররা।

 

এখানকার তৈরী মৃৎ সামগ্রী নিখুঁত ও মনকারা হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

 

উল্লেখ্য যে, আগে মাটির তৈরী মৃৎ শিল্পের প্রচুর চাহিদা থাকলেও বর্তমানে সিলভার ও প্লাস্টিক সামগ্রী বাজারে আসায় অনেকটা চাহিদা কমে গেছে। তবে মাটির তৈরী পাতিল বা বাসনে রান্না ও খাওয়া-দাওয়া করায় পূর্ব পুরুষদের শরীরে রোগবালাই কম দেখা গেছে। এখন সিলভার ও প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারে নানা রোগের সৃষ্টি হয়। তথাপি পাল বংশের ঐতিহ্য ধরে রাখতে মৃৎ শিল্পের হাল ছাড়তে পারেননি অনেক পরিবার। এই শিল্পকে সরকারি, বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে আরও এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone