শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৬:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কিন্ডার হিল্পস্ ওর্য়্যাক সংস্থার স্পন্সরপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠিত বিডি হেডলাইন্স ২৪ ডট কম এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন ফুল বাগান বিলাস! অযত্ন আর অবহেলায় তালগাছ এখন নিশ্চিহ্ন! জেলা শিল্পকলা একাডেমির জন্য ডিসি পার্কে প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি বরাদ্দের আবেদনপত্র! জারুল ফুলের মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সুপারি বাগানে সাথী ফসল চাষে বাড়তি আয়! গ্রামীণ খেলাধূলা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে

কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন ইউএলও এবং ঠিকাদার

আলোর মনি রিপোর্ট
  • প্রকাশের তারিখ : রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০
  • ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার অাদিতমারী উপজেলার উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের ৩তলার কাজ চলছে। কাজটি খামারবাড়ি প্রকল্পের। এই কাজ করা হচ্ছে অতি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে।

 

সেখানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রুবেল এন্টারপ্রাইজের সাদ্দাম হোসেন নামের একজনের সাথে কথা হয়। সাদ্দাম হোসেন নিজেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলে নিজের পরিচয় দেন।

 

সাদ্দাম বলেন, কাজটি রুপালি এন্টারপ্রাইজের খামারবাড়ি প্রজেক্টের।

 

তার কাছে কার্যাদেশ দেখতে চাইলে বলেন, কার্যাদেশ নাই। কার্যাদেশ ঢাকা অফিস। অাছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ফোন নম্বর দিতেও ব্যর্থতা প্রকাশ করেন।

 

তিনি বলেন, জানেন তো অাদিতমারীতে ইটের সঙ্কট। এই ইট এক নম্বর কিনা জানিনা। এই ইটকে এক নম্বর ইট বলতেই হবে। এগুলো দেখাশোনা করার দায়িত্ব উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা এবং জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার।

 

স্থানীয় অাজিজুল হক বলেন, এই ইট ৪নম্বর।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের স্টাফরাও একই কথা বলেন।

 

কাজের শ্রমিকরা বলছেন, কোম্পানী যা দিবে তাই দিয়ে কাজ করতে হবে। অামাদের করার কিছু নেই।

 

এর পরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার সুমনের সাথে কথা হয়। অামি এক নম্বর ইট কিনেছি। ইট বিক্রেতা অামাকে ঠকিয়েছে। তাই এসব ইট দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা লাইভস্টক অফিসার ডাঃ মোশারফ হোসেন তৎক্ষণাত কাজ বন্ধ করে দিয়ে বলেন, এই ইটের মান নিম্নমানের। তাই এই কাজ বন্ধ থাকবে। সবাই ইটগুলোকে নিম্নমানের বলছে। ইট পরিবর্তন না করলে কাজ হবেনা। কিন্তু পরে তিনি ঐ ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। কাজ ঠিক ঐ ইটগুলো দিয়েই করেছেন।

 

জেলা লাইভ স্টক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, অামি দুইবার ইটগুলো রিজেক্ট করেছি। তখন ইউএলও এবং ঠিকাদার বললেন স্যার এখান থেকে কিছু ইট কাজে লাগাই। অামি বলেছি সব ইট ফেরৎ দেয়া ভাল হবে। এই ইট দিয়ে কাজ করা যাবেনা।অামি রিজেক্ট করার পরেও যদি তারা না মানে, তাহলে স্থানীয়রা কাজটি নজরদারী করতে পারেন।

 

তিনি অারো বলেন, কেন তারা এই ইট দিয়ে কাজ করবে! এই ইট তো বাজে ইট। অামাদের সব কাজ পিকইট দিয়ে করা হয়েছে।অামাদের প্রজেক্ট ডাইরেকটর খুব ভাল মানুষ। অামাদের কাজ ১০০% হতে হবে।সরকারের কাজ শতভাগ করতে হবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102