শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্মারক মঞ্চের মুরালটি কাপর দিয়ে ঢেকে দেওয়ায় সনাকের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ লালমনিরহাটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপন চরের স্কুলে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারে চলছে ওয়াশ ব্লক নির্মাণ! লালমনিরহাটের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে গণহত্যা ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন লালমনিরহাটের এম মিজানুর রহমান লালমনিরহাটে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমান্তে নেশার চালান মজুদ লালমনিরহাটের বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিল্পপতি এবং শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব শেখ আব্দুল হামিদ বাবু প্রেসক্লাব লালমনিরহাট এর সাবেক সভাপতি মরহুম মোফাখখারুল ইসলাম মজনু’র স্মরণ সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ!

লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ!

দিন দিন বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে লালমনিরহাটের মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ। প্রতি বছরই মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। স্বল্প পরিসরে যাও চাষ হচ্ছে তা নেহাতই মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) নিজের খাবারের আশায়।

 

সরেজমিনে লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, পূর্বের ২০-২৫বছরের তুলনায় এবারে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) এর তেমন চাষই হয়নি। প্রায় ৯৯% মাঠে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই)র কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায় না। যে সকল মাঠে আগে দেখা যেত সবুজ রং এর সমারোহ সেখানে এখন আবাদ হচ্ছে সবুজ বর্ণের ধান কিংবা সবজিসহ অন্যান্য সবজির।

 

কিন্তু মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষে কেন আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমরা কথা বলি কয়েকজন কৃষকের সাথে।

 

লালমনিরহাটের ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ হযরত আলী জানান, মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষে আগের মতো তেমন ফলন পাওয়া যায়না তাই এতে আমাদের লাভ নাই, এজন্যই মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ করিনা।

 

একই গ্রামের কৃষক মোঃ সাহেব আলী জানান, জমিতে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ করার তুলনায় ধান ও সবজিসহ অন্যান্য মৌসুমি ফসল চাষ করলে আমরা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হই। এজন্যই আমরা মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ করিনা।

 

কোদালখাতা গ্রামের কমল চন্দ্র রায় জানান, আমাদের আশেপাশে কোথাও মাষকলাই (ঠাকরি কালাই)র অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়না। তবে উত্তর সাপটানা যেতে রাস্তার ধারে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ দেখতে পাওয়া যায়।

 

এক সময়ে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে পুরোদমে দেখা যেত মাষকলাই (ঠাকরি কালাই)। কিন্তু বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি অধিক মুনাফা লাভের আশায় অন্য ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে কলাই চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক।

 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে গ্রাম বাংলার এ ঐতিহ্যকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবেন এমনটাই আহবান সচেতন মহলের।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone