শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের! স্বাধীনতার ৫৩বছর পেরিয়ে গেলেও লালমনিরহাটের খোরারপুলে হয়নি সেতু! লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হাত বদলে বাড়ে সবজির দাম; বঞ্চিত হন লালমনিরহাটের চাষিরা! ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি; মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পেলো যুবক! বিজিবি ও ছাত্রজনতা স্বেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত রাস্তা মেরামত! লালমনিরহাটের চাষীদের বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ! লালমনিরহাটে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক নাটক প্রদর্শন অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে মাটির উর্বরতা বাড়াতে ধৈঞ্চা চাষ!

লালমনিরহাটে মাটির উর্বরতা বাড়াতে ধৈঞ্চা চাষ!

লালমনিরহাটে সবুজ সার তথা ধৈঞ্চার চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাসায়নিক সার ব্যবহারে দিনের পর দিন জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। মূলতঃ এ কারণে মাটির গুণাগুণ ও জৈব শক্তি বাড়াতে এর চাষ বাড়ছে বলে জানিয়েছে কৃষকেরা।

আর কিছু দিন পরই রোপা আমন ধান চাষের প্রক্রিয়া শুরু হবে। জমির উর্বরতা শক্তি বাড়াতে কৃষকেরা ধৈঞ্চা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। মাসখানেক আগে জমিতে ধৈঞ্চার বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে সে সব, জমিতে চাষ করে সবুজ সারে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ ব্লকের কোদালখাতা গ্রামের জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করা হয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, কোনো উদ্ভিদকে চাষ করে সবুজ অবস্থায় তা মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে যে সার উৎপন্ন হয় তাকে সবুজ সার বলা হয়। স্থানীয় কৃষকদের জমির উর্বরতা রক্ষা ও মাটিতে জৈব পদার্থের গুণাগুণ রক্ষায় ধৈঞ্চা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

কোদালখাতা গ্রামের কৃষক মোঃ আজগার আলী নিজে তার জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে দুইবার চাষ দিয়ে জমিতে বীজ ছিটিয়ে বুনতে হয়। বীজ রোপণের ৪০দিন পর গাছে ফুল আসার সময় সবুজ থাকা অবস্থায় মই দিয়ে তা মাটিতে মিশিয়ে দিতে হয়। এরও ১০-১২ দিন পর আবার মই দিলে তা পচে সবুজ সারে পরিণত হয়।

উল্লেখ্য যে, জমিতে মাত্রা অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারে মাটির প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থের উপাদান উদ্বেগজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। ধৈঞ্চা চাষে সবুজ অবস্থায় এটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ফলে একদিকে যেমন মাটির উর্বরতা বাড়ে অপরদিকে মাটির জৈব পদার্থের উপাদানের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে নাইট্রোজেনের পরিমাণও বাড়ে। সবুজ গাছ পচার সময় জীবাণুর কার্যকারিতা বাড়ে। সবুজ জাতীয় গাছ মাটির আচ্ছাদন সৃষ্টি করে রাখে ও ভূমিক্ষয় রোধ হয়। এতে করে বেলে মাটিতে পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং মাটির অভ্যন্তরে বাতাস চলাচলে সুবিধা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone