শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটের ভুট্টার রঙ্গিন ফুলের মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে গ্রামীণ রাস্তার পথচারীদের লালমনিরহাটে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে অপহরণকৃত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন লালমনিরহাটে মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল; ক্রেতারা স্বস্তিতে লালমনিরহাটের বিএনপি নেতার অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল প্রশাসন লালমনিরহাটে শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বসতবাড়িতে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য নারী কৃষকদের মাঝে বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে তৃতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে চাঁদার দাবি না পেয়ে হত্যা তিস্তা ভবন রংপুরে স্পার বাঁধের ভাঙন রোধের দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বাংলাদেশ স্কাউটসের ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত

এমদাদুল সিন্ডিকেটের এক সদস্য গ্রেফতার!

মানুষকে সরকারি ঋণ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া এবং চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে প্রতারনার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন এমদাদুল হক। তার সিন্ডিকেটে সদস্য রয়েছে ১০-১২জন। এমদাদুলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের ব্রহ্মতল দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামে। সোমবার রাতে ব্রহ্মতল দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকা থেকে এমদাদুল সিন্ডিকেটের সদস্য আবুল কালাম আজাদ ওরফে রতন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় এমদাদুলসহ ৩জনকে আসামি করে আদিতমারী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী।

 

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ফলিমারী গ্রামের প্রতাপ চন্দ্র রায় এমদাদুল সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়েন। প্রতাপকে গাভী পালনের জন্য ১৪লাখ টাকা ও মৎস্য চাষের জন্য ২০লাখ টাকা সরকারি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ঘুষের জন্য ৩লাখ ৫০হাজার টাকা এবং স্বাক্ষরিত ১২টি চেকের পাতা ও ১২টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নেন এমদাদুল হক। প্রতাপের মেয়েকে সরকারি চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এসব টাকা ৫টি মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশ ও নগদে গ্রহণ করেন।

 

প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, আমাকে এমন ভাবে ফাঁদে ফেলানো হয়েছিল তাতে আমি এমদাদুল ছাড়া কাউকে বুঝতে চাইতাম না। তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিজেকে ব্যাংকের অফিসার, মৎস্য অধিদপ্তরের অফিসার ও বিসিকের অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে কথা বলতেন। আমি বিশ্বাসও করেছিলাম।

 

তিনি বলেন, এমদাদুল একজন পেশাদার প্রতারক। তিনি অনেক মানুষকে ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত করেছেন।

 

তিনি বলেন, এমদাদ সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন সরকারি অফিসে ঘুরে বেড়ান এবং ঋণ প্রত্যাশি মানুষকে ফাঁদে আটকান।

 

ব্রহ্মতল দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকার লোকজন বলেন, ১০-১২বছর আগে এমদাদুল একজন দিনমজুর ছিলেন। এখন তিনি ৬-৭বিঘা জমি ও একটি পাকা বাড়ির মালিক। গ্রামে তিনি ‘ফুংফাং এমদা’ নামে পরিচিত। প্রতারনার জন্য গ্রামে বহুবার বিচারও হয়েছে এমদাদুলের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন স্থানে তাকে আটকিয়ে রেখেছিলেন বিক্ষুদ্ধ লোকজন। সরকারি ঋণ পাইয়ে দেওয়া ও সরকারি দেওয়ার নামে নেওয়া স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের ভয় দেখিয়ে তিনি অনেক নিরীহ মানুষকে প্রতারিত করেছেন।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদিতমারী থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, এমদাদ সিন্ডিকেটের প্রধান এমদাদুল ও অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেসব মোবাইল নাম্বারে বিকাশ ও নগদে টাকা নিয়েছিল সেটির সত্যতা পাওয়া গেছে।

 

তিনি বলেন, সরকারি ঋণ ও চাকুরি পাইয়ে দেওয়া নামে নেওয়া স্বাক্ষতি চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করতে তৎপর আছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone