শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে লিপিকা দত্ত এর দূর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট সাংবাদিককের দুই পা কর্তন! লালমনিরহাটের কৃষকেরা বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে! লালমনিরহাটে সু-স্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিষয়ক ৩দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশ নিয়ে চিলমারীতে ব্যাপক সাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কোর্সটি চালু করা হোক? লালমনিরহাটে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট (অনুর্ধ্ব-১৭)-২০২৫ এর উপজেলা পর্যায়ে বাছাই খেলা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ৭ সদস্য বিশিষ্ট এ্যাডহক কমিটি গঠন লালমনিরহাটে ফসল রক্ষায় কাকতাড়ুয়া
লালমনিরহাটে হলুদ গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে স্বর্ণলতা

লালমনিরহাটে হলুদ গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে স্বর্ণলতা

প্রকৃতিতে সৌর্ন্দয্য বাড়িয়ে তোলা লতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- স্বর্ণলতা বা আলোকলতা। শুধুমাত্র সৌন্দর্য্য ছড়ানোই নয়, ঔষুধের গুণাবলিও রয়েছে এ লতার। একটা সময় প্রায় সব জায়গায় এই আলোক লতা দেখা যেতো। এ লতাকে চেনে না এমন কোনো মানুষ নেই। কিন্তু এর নাম যে আলোক লতা তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই।

 

কাঁটা জাতীয় কুল গাছই মূলত এর প্রধান আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়াও সরেয়া/ সওড়া গাছের ডালে আলােক লতা দেখা যায়। এক সময় গ্রামীণ পথের ধারে গাছে গাছে জালের মতো বিস্তার করতো এ আলোক লতা। কিন্তু দিনের পর দিন ধরে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এ লতা।

 

মাঘের শিশির ভেজা মৃদু বাতাসে লালমনিরহাট জেলায় হলুদ রঙের গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে আলোক লতা। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটি গ্রামের পাঁকা সড়কের পাশে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঝুড়ি ঝুড়ি হলদে সুতা ঝুলে আছে। এর উপরে রোদ পড়লে চকচক করে। গ্রামে এখন খুব কমই দেখা যায় এই আলোক লতা।

 

শিবেরকুটি গ্রামের মোঃ রেজাউল করিম বলেন, লােকমুখে শুনেছি আলোক লতায় ঔষুধি গুণ আছে। মোটা লতা পিত্তজনিত রোগে, সরু লতা দুষিত ক্ষতে, ডায়াবেটিস ও জন্ডিস এবং বীজ কৃমি রােগ নিরাময়ের জন্য খাওয়ানো হতো। খোশপাঁচড়া রােগ নিরাময়েও ব্যবহার করা যায়। তবে বর্তমানে এর ব্যবহার নেই বললেই চলে। কারণ, এই আলােক লতা সব জায়গায় পাওয়া যায় না।

 

স্থানীয় মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ শরিফুল ইসলাম ও মোঃ সবুজ জানান, আলোক লতা একটি পরজীবী উদ্ভিদ। গাছেই এর জন্ম, গাছেই এর বেড়ে ওঠা ও বংশ বিস্তার। কোনো পাতা নেই, লতাই এর দেহ-কাণ্ড-মূল। সোনালী রং এর চিকন লতার মতো বলে এইরূপ নামকরণ।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, জীবন্ত গাছে জন্ম নিয়ে অলৌকিকভাবে পরগাছকে অবলম্বন করেই টিকে থাকে আলোক লতা। যেই গাছে জন্মায় সেই গাছের ডাল ও কাণ্ড থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে। প্রাকৃতিক ভাবে বংশ বিস্তার করে থাকে। পৌষ ও চৈত্র মাসে এই লতা বেড়ে উঠে ও জালের মতো বিস্তার ঘটায়। দেশে সর্বত্রই আলোক লতার জন্য উপযোগী আবাসস্থল। ফলে নির্ভরশীল গাছে আপন মনে জন্মায় আলোক লতা। এখন আলোক লতার ভরা মৌসুম। জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠার জন্য এর ডগা উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone