শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
আকবরিয়া সুইটস এন্ড কনফেকশনারি-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ খেলাধূলা ইএসডিও’র কার্যালয়ে তথ্য সংগ্রহে গেলে লাঞ্চিত ৩ সাংবাদিক; থানায় অভিযোগ শহীদ আবুল কাশেম-এঁর ৫৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ জব্দ রেলওয়ের গণশুনানিতে অভিযোগ; তদন্ত কমিটি গঠন জন প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে- বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সম্মেলন অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে এক টানা ৬দিন পর মিললো সূর্যের দেখা

লালমনিরহাটে এক টানা ৬দিন পর মিললো সূর্যের দেখা

এক টানা ৬দিন পর লালমনিরহাটে মিললো সূর্যের দেখা। সোমবার (৮ জানুয়ারি) থেকে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত মেলেনি সূর্যের দেখা। তাপমাত্রা শবিবার সকালে ছিলো ১১ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকালে কমে তা ১০ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। এ কয়েকদিন রাতে-দিনে প্রায় সমপরিমাণে শীত অনুভুত হয়। টানা শৈত্য প্রবাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। সূর্য উঠায় ঘর থেকে বেড়িয়ে কাজে নেমে পড়ে সবাই। শহর-গ্রামে সমান তলে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা। তবে এখনো গ্রামের অনেক স্থানে রয়েছে হালকা কুয়াশা।

সূর্যের দেখা মেলায় শীত কিছুটা কমেছে। জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বেলা গড়ার সাথে সাথে সূর্যের তেজ আবারও কমতে শুরু করেছে।

প্রতি বছর লালমনিরহাটসহ পুরো উত্তরাঞ্চলে শীত আগাম আসে এবং বেশি অনুভূত হয়। এবারেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। তবে এবারের শীতে ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বেশি কষ্ট পায়।

দিনভর থাকে হিমেল হওয়া। সন্ধ্যা না নামতেই হিমেল হাওয়ার সাথে শুরু হয় কুয়াশা। রাত যত গভীর হয় কুয়াশার মাত্রা বেড়ে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো পড়ে কুয়াশা। চলে সকাল ৯টা পর্ষন্ত। পরে কুয়াশা কমলেও অব্যহত হিমেল হাওয়ায় কমে না শীতের প্রকোপ।

গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রকোপ আরও বেশি থাকায় কৃষকরা ক্ষেত খামারে কাজ করতে পরেনি। গবাদি পশু নিয়ে পড়ে বিপাকে। বেশি দুর্ভোগে পড়ে নদীতীরবর্তী খেটে খাওয়া মানুষজন। শ্রমজীবীরা তীব্র হিমেল হাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ে।

শীতে শিশু  ও বয়োবৃদ্ধ মানুষজনের ঠান্ডাজনিত  সর্দি, কাশি ও হাঁপানি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। গত কয়েকদিনে জেলার ৫উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ জেলা সদর হাসপাতলে শতাধিক শীতজনিত রোগী ভর্তি হয়েছে।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় বলেন, ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ২৪হাজার পিচ কম্বল বিতরণ অব্যহত রয়েছে। সম্প্রতি আরও ২হাজার পিচ কম্বল এসেছে বলেও তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone