শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জব্দকৃত সার বিক্রি অনিয়মের অভিযোগ; কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় হরিজন সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ : নাগরিক ভাবনা গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত আজ লালমনিরহাট মুক্ত দিবস শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকুলচন্দ্রের শুভ আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব ও শ্রীমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক-এঁর ইন্তেকাল শীতার্ত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবকের মরদেহ ফেরত অসহায়, অতি-দরিদ্র, রোগাক্রান্ত ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শীতার্ত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে এক টানা ৬দিন পর মিললো সূর্যের দেখা

লালমনিরহাটে এক টানা ৬দিন পর মিললো সূর্যের দেখা

এক টানা ৬দিন পর লালমনিরহাটে মিললো সূর্যের দেখা। সোমবার (৮ জানুয়ারি) থেকে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত মেলেনি সূর্যের দেখা। তাপমাত্রা শবিবার সকালে ছিলো ১১ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকালে কমে তা ১০ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। এ কয়েকদিন রাতে-দিনে প্রায় সমপরিমাণে শীত অনুভুত হয়। টানা শৈত্য প্রবাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। সূর্য উঠায় ঘর থেকে বেড়িয়ে কাজে নেমে পড়ে সবাই। শহর-গ্রামে সমান তলে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা। তবে এখনো গ্রামের অনেক স্থানে রয়েছে হালকা কুয়াশা।

সূর্যের দেখা মেলায় শীত কিছুটা কমেছে। জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বেলা গড়ার সাথে সাথে সূর্যের তেজ আবারও কমতে শুরু করেছে।

প্রতি বছর লালমনিরহাটসহ পুরো উত্তরাঞ্চলে শীত আগাম আসে এবং বেশি অনুভূত হয়। এবারেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। তবে এবারের শীতে ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বেশি কষ্ট পায়।

দিনভর থাকে হিমেল হওয়া। সন্ধ্যা না নামতেই হিমেল হাওয়ার সাথে শুরু হয় কুয়াশা। রাত যত গভীর হয় কুয়াশার মাত্রা বেড়ে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো পড়ে কুয়াশা। চলে সকাল ৯টা পর্ষন্ত। পরে কুয়াশা কমলেও অব্যহত হিমেল হাওয়ায় কমে না শীতের প্রকোপ।

গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রকোপ আরও বেশি থাকায় কৃষকরা ক্ষেত খামারে কাজ করতে পরেনি। গবাদি পশু নিয়ে পড়ে বিপাকে। বেশি দুর্ভোগে পড়ে নদীতীরবর্তী খেটে খাওয়া মানুষজন। শ্রমজীবীরা তীব্র হিমেল হাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ে।

শীতে শিশু  ও বয়োবৃদ্ধ মানুষজনের ঠান্ডাজনিত  সর্দি, কাশি ও হাঁপানি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। গত কয়েকদিনে জেলার ৫উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ জেলা সদর হাসপাতলে শতাধিক শীতজনিত রোগী ভর্তি হয়েছে।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় বলেন, ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ২৪হাজার পিচ কম্বল বিতরণ অব্যহত রয়েছে। সম্প্রতি আরও ২হাজার পিচ কম্বল এসেছে বলেও তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone