শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটের হাসপাতাল রোডে দুটি স্পীড ব্রেকারই বাড়িয়েছে ঝূঁকি! তেজপাতার বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে লালমনিরহাটে লালমনিরহাটে ‘এ-‘ ও ‘বি’ গ্রেড পেয়ে এসএসসি পাশ করলো দুই দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী! লালমনিরহাটে বিমাতার বিরুদ্ধে অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা করলেন ছেলে! লালমনিরহাটে সুপারি বাগানে সাথী ফসল চাষে বাড়তি আয়! লালমনিরহাটে অ্যাড. মতিয়ার রহমান-এঁর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট শহরের বিভিন্ন রাস্তায় রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী; দুর্ভোগে শহরবাসী! লালমনিরহাটে কচুর আবাদ বেড়েছে রেলপথ সংস্কারে অনিয়ম; তদন্তে দুদক! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন মোছাঃ লতিফা বেগম!
ত্রানের টাকা আত্মসাত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

ত্রানের টাকা আত্মসাত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে হতদরিদ্রদের জন্য করোনায় জেনারেল রিলিফ (জিআর) নগদ অর্থ বিতরণে নয়-ছয় করে কৌশলে অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে ৪নং দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ বর্মনের বিরুদ্ধে।

 

এ ঘটনায় গত ৪ জুলাই চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। একই সঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে ৮ জুলাই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নির্বাচিত ১২জন ইউপি সদস্য।

 

জানা গেছে, করোনায় হতদরিদ্রের জন্য জিআর বরাদ্দে দলগ্রাম ইউনিয়নে ৫শত ৫০জন সুবিধাভোগীর প্রত্যেককে ৫শত টাকা করে প্রদানের নির্দেশ থাকলেও অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এর ভিন্ন চিত্র। তালিকা অনুযায়ী বেশ কিছু সুবিধাভোগী পরিষদে যাওয়ার আগেই চেয়ারম্যান তার লোকদেরকে দিয়ে নামের তালিকায় জাল টিপে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।

 

তালিকায় নাম থাকা ৩নং ওয়ার্ডের উঃ দলগ্রাম এলাকার রনজিৎ কুমার ও তার স্ত্রী স্বপ্না রাণী সাংবাদিকদের বলেন, মাষ্টার রোলে আমাদের নাম আছে কিন্তু টাকা পাইনি। এভাবে টাকা আত্মসাত হওয়ার ঘটনা টের পাননি তালিকায় নাম থাকা আরও অনেকেই।

 

মাষ্টার রোলে থাকা ৩নং ওয়ার্ডের ১৮টি নামের টাকা উত্তোলন করেন কালভৈরব বাজারের পল্লী চিকিৎসক ললিত মোহন রায়।

 

এ বিষয় জানতে চাইলে ওই পল্লী চিকিৎসক ললিত মোহন রায় সাংবাদিকদের জানান, চেয়ারম্যান ১৮টি নামের টাকা দিয়েছে বাজারে রাস্তার কাজ করার জন্য। তালিকায় হতদরিদ্রদের নাম আছে অথচ টাকা নেই। ফলে কৌশলে এ টাকা আত্মসাত করেন চেয়ারম্যান। অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করেন গত ২৮ জুন করোনাকালীন জিআর বরাদ্দের টাকা বিতরণে চেয়ারম্যান একেকজনকে দিয়ে একাধিক নামের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন এবং ৫নং ওয়ার্ডের তালিকায় নাম আছে টাকা পায়নি অনেকেই। ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে চেয়ারম্যান প্রায় ৪লাখ ৩০হাজার টাকা উত্তোলন করেন। জন্ম নিবন্ধন সনদ দিতে ৪শত থেকে ৫শত টাকা, প্রত্যায়নপত্র দিতে ৫০টাকা, ভূমিহীন সনদ দিতে ৫শত থেকে ১হাজার টাকা আদায় করেন। এছাড়া পরিষদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সদস্যদের সাথে সমন্বয় না করে তিনি একক সিদ্ধান্তেই সব কার্যক্রম চালান। তদন্ত করলেই অনাস্থা প্রস্তাবের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা বিষয়গুলোর সত্যতা পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সদস্যের।

 

এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ বর্মন সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। যাহা ভিত্তিহীন।

 

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল মান্নান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে জানান, বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone