শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে ফল উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপির কর্মীকে কারাদণ্ড, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে হামলা ভাংচুর : ৮ পুলিশসহ আহত অন্তত ২০ প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় রিকশাচালক গ্রেফতার চাকরিচ্যুত হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ঐতিহ্যবাহী মোগলহাট জিরো পয়েন্ট এখন শুধুই স্মৃতি; দর্শনার্থীদের ভিড় সময়ের প্রয়োজনে ও রক্তের বিনিময়ে এনসিপি গঠিত হয়েছে- লালমনিরহাটে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ; ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন কালের আবর্তে বিলুপ্তির পথে মহিষ ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস পরিদর্শন
লালমনিরহাটের মূসতাযীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

লালমনিরহাটের মূসতাযীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: কলেজ শিক্ষক এস. তাবাসসুম রায়হান মূসতাযীর তামান্না। লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনার উত্তর বাংলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। জেলার ঐতিহ্যবাহী মূসতাযীর পরিবারের সবাই দেশের বাহিরে থাকেন। চাকুরি সুবাদে তামান্না মূসতাযীর ও তার মা শিরিন মূসতাযীর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম এলাকায় তারা বসবাস করেন। ১০বিঘা জমিতে বিশাল প্রাচীর ঘেরা বসত বাড়ি ও ব্যাপক জমি-জমা যেন তামান্না মূসতাযীর ও তার মা শিরিন মূসতাযীর’র কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের উপর চোখ পড়ে প্রতিবেশী একটি প্রভাবশালী পরিবারের। শুরু হয় মা ও মেয়ে’র বিরুদ্ধে নানা যড়ষন্ত্র। শুধু মা ও মেয়েকেই নয় ওই বসত বাড়ি’র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই কর্মচারীকে দেয়া হচ্ছে হুমকি। প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গিয়েও প্রভাবশালীদের চাপে সহযোগিতা পায়নি পরিবারটি। অবশেষে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন তামান্না মূসতাযীর। বৃহস্পতিবার নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন কলেজ শিক্ষক এস. তাবাসসুম রায়হান মূসতাযীর তামান্না।

তিনি বলেন, আমার বাবা স্কুল শিক্ষক বজলে রহমান মূসতাযীর ২০০৫ সালে মারা যান। আমার চাচা ও চাচাত ভাই-বোনরা বিভিন্ন দেশে চলে যান। দেশের প্রতি ভালাবাসায় আমরা মা ও মেয়ে দেশেই থাকি। দেশে আমার পরিবারের কেউ না থাকায় আমার ১০বিঘা জমিতে বিশাল প্রাচীর ঘেরা ওই বসত বাড়ি ও ব্যাপক জমি-জমার উপর চোখ পড়ে স্থানীয় একটি রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী পরিবারের দুই একজন সদস্যের। তারা তাদের নিজস্ব লোকজন দিয়ে আমাকে নানা ভাবে হয়রানী করছেন। গত ২২ অক্টোবর আমার দায়ের করা একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হন খলিল নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি গত ২৬ অক্টোবর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুলিশকে সড়ক দূর্ঘটনায় খলিলের মৃত্যু হয়েছে এমন লিখিত দিয়ে লাশ গ্রহণ করেন নিহতের পরিবার। কিন্তু সেই সড়ক দূর্ঘটনাকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড তৈরীর নাটক করে আমার পরিবারকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

ওই প্রভাবশালী পরিবারের দুই-একজন প্রকাশ্য বলছেন, আমার বাবা নাকি একজন রাজাকার। অথচ ‘৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে ওই সময় আমার বাবা একাধিক কবিতা লিখেছেন যা ওই সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে।

শিরিন মূসতাযীর বলেন, আমার পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্য নেই। আমি ও আমার মেয়ে দুই জন এ বাড়িতে থাকি। বসত বাড়ির চার পাশে ওই প্রভাবশালী পরিবারগুলোর বাড়ি হওয়ায় আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলেও প্রভাবশালীদের চাপে আমরা আইনী সহযোগিতা পাচ্ছি না। ফলে আইনী সহযোগিতা চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগও করেছে আমার মেয়ে তামান্না মূসতাযীর।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone